ঢাকা, বুধবার   ২৭ নভেম্বর ২০২৪

ফুলের বাজারে মন্দা, সহায়তা চান চাষী ও ব্যবসায়ীরা (ভিডিও)

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১২:৩৩, ২১ জুন ২০২১

করোনাকালে ফুলের বাজারে মন্দা। ২০২০ সালের মার্চে সংক্রমণ শুরুর পর ধস নামে ফুল ব্যবসায়। এক ধাক্কায় ১৬শ’ কোটি টাকার বাজার নেমে আসে নয়শ’ কোটি টাকায়। এ অবস্থায় অনেকেই গুটিয়ে নিয়েছেন ফুল চাষ। চাষের জমি কমেছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর। ক্ষতি পোষাতে সরকারি সহায়তা চান ফুল চাষী ও ব্যবসায়ীরা। 

সাভারের গোলাপ গ্রাম, মন ভালো নেই ফুলচাষীদের। নষ্ট হচ্ছে ক্ষেতের ফুল। অনেকেই ফুল কেটে ফেলে দিচ্ছেন।

দু’বছর আগে ২০১৯ সালে দেশে ফুল চাষ হয় ৬ হাজার হেক্টর জমিতে। করোনাকালে চাষের জমি কমেছে প্রায় ১ হাজার হেক্টর। বিক্রির লক্ষ্য ১৬শ’ কেটি টাকা থাকলেও ২০২০ সালে বিক্রি হয় ৯শ’ কোটি টাকার মতো। 

ফুল উৎপাদন, পরিবহন ও বিপননের সাথে জড়িত প্রায় ৩০ লাখ মানুষ। করোনার ধাক্কায় ফুল চাষের সাথে জড়িত ৪০ ভাগ মানুষই বেকার হয়েছে। যারা চাষ করছেন তারাও লোকসানের মুখে। 

চাষীরা বলছেন, করোনায় অনুষ্ঠান কমে যাওয়ায় বিক্রি কমেছে। ফুলের জমিতে এখন অন্য ফসল।

চাষীরা জানান, বাগানের ফুল বাগানেই থাকে। কাস্টমার আসে না, ফুল কেটে আনলে বিক্রি হয় না। লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার পর দুই বছর যাবত বাজারজাত করতে পারছি না আমরা।

সাভারের কৃষি কর্মকর্তা জানালেন, ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের কিছু ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে। 

সাভার উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নাজিয়াত বলেন, করোনাকালীন সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত চাষীদের একটি তালিকা তৈরি করে জেলা পরিষদ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকার অর্থায়ন পেয়েছি আমরা।

ফুলের রাজধানী যশোরের গদখালীর চিত্রও একইরকম। ফুল চাষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন চাষীরা। 

বাংলাদেশ ফ্লাওয়ার সোসাইটির সভাপতি জানালেন, সরকারি সহায়তা ছাড়া ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব না। 

সভাপতি আব্দুর রহিম বলেন, আমাদের এই সেক্টরকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য ধারাবাহিকভাবে প্রনোদনার টাকা বিতরণের ব্যবস্থা করতে হবে।
 
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহায়তা পেলে বিদেশে ফুল রপ্তানি করে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়া সম্ভব বলে মনে করছে ফুল ব্যবসায়ীরা। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি