ফেনী ও খাগড়াছড়িতে প্লাবিত শতাধিক গ্রাম
প্রকাশিত : ১৪:৩৪, ২১ আগস্ট ২০২৪
কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিপাত ও ভারতের উজানের পানিতে ফেনীতে প্লাবিত হয়েছে শতাধিক গ্রাম। খাগড়াছড়িতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়ে পানিবন্দি তিন শতাধিক পরিবার।
ফেনীর তিন নদী মুহুরী, কহুয়া ও সিলোনিয়ার পানি বেড়ে বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ১৭টি ভাঙন অংশ দিয়ে পানি প্রবেশ করছে। এতে জেলার পরশুরাম ও ফুলগাজীতে তৃতীয় দফা বন্যায় শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
তলিয়ে গেছে অভ্যন্তরীণ বিভিন্ন সড়ক, বন্ধ রয়েছে যান চলাচল। তলিয়েছে ফসলি জমি ও মাছের ঘের। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন লক্ষাধিক মানুষ।
বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বিদ্যুৎ সংযোগও। স্থানীয়রা বলছে অতীতে এমন ভয়াবহ বন্যা আর দেখেনি তিন উপজেলার বাসিন্দারা। তারা ত্রান নয় চান টেঁকসই বেড়িবাঁধ।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদ শাহরিয়ার জানান, গতবার ভাঙ্গাস্থান ৭০থেকে ৭৫ কাজ শেষ না হতেই আবার ভাঙ্গাস্থান স্থানে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানি প্রবেশ কমলেই মেরামত কাজ শুর করা হবে।
জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার জানান, দুই উপজেলার অধিকাংশ গ্রাম প্লাবিত। বন্যাদুর্গত এলাকার জন্য ৫শ মেট্রিকটন চাল, নগদ দশ লক্ষ টাকা বরাদ্দনদেয়া হয়েছে ও শুকনো খাবার প্রস্তুত করা হয়েছে। আটকাটড়া জনসাধারণকে উদ্ধারে সেনাবাহিনী, কোস্ট গার্ডের কাছে সহায়তা চাওয়া হয়েছে। তারা দ্রুত উদ্ধার কাজ শুরু করবে।
এদিকে, খাগড়াছড়িতে চেঙ্গী নদী পানি বেড়ে জেলা সদরের মুসলিমপাড়া, মেহেদীবাগ, কালাডেবা, রুইখই চৌধুরীপাড়া, মেহেদীবাগ, শান্তি নগর, গঞ্জপাড়া, শব্দমিয়া পাড়া, দীঘিনালা, কমলছড়ি ও মাটিরাঙ্গার তাইনংয়ের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
রাঙামাটির সাজেক-বাঘাইহাট সড়কের মাচালং ও বাঘাইহাট স্থানে পানি উঠায় সাজেকে আটকরা পড়েছেন দুই শতাধিক পর্যটক।
এএইচ
আরও পড়ুন