ফেনীতে কিশোরগ্যাংয়ের মারামারি, গ্রেপ্তার ৩
প্রকাশিত : ১৫:২৫, ২৪ জুন ২০২৩
ফেনীতে কিশোরগ্যাংয়ের একটি মারামারির দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরালের ঘটনায় মামলা হয়েছে। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
শনিবার সকালে শহরের পুলিশ কোয়াটার এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, শুক্রবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে কিশোর গ্যাং ‘এফসিবি’র হায়দার ক্লিনিকের পাশে খালি জায়গায় মারামারির ঘটনা ঘটে। ভিডিও ফুটেজ এক কিশোর ফেনী মডেল হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণীর ছাত্র আমিরুল হুদা মুবিন (১৪)কে বেধড়ক পিটিয়ে আহত ও পা ধরে ক্ষমা চাওয়ার দৃশ্য দেখা যায়। ভিডিও ফুটেজটি পুলিশ প্রশাসনসহ সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ হয়।
রাতে নির্যাতনের শিকার ছেলের মা পারভিন আক্তার বাদী হয়ে ফেনী মডেল থানায় ১১ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিন কিশোরকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন শুভ, ইফাত ও প্রিয়। তাদের বয়স ১৪ থেকে ১৫ বছর।
মামলার অপর আসামিরা হলেন- ডাক্তার পাড়ার ওয়াসিম (১৬) আব্দুর রহমান (১৪), রাসেল (১৫), সিয়াম (১৫), আছিম (১৫), ইসফার (১৫), জন্ম (১৫), প্রিয়ম (১৫) ইফাত (১৫) পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার আল কেমী হাসপাতালের পিছনের এলাকার নোমান (১৪), শুভ (১৫)।
তারা শহরের ফালাহিয়া মাদরাসা, শাহীন একাডেমী, হলি ক্রিসেন্ট, সেন্ট্রাল স্কুল ও মডেল হাই স্কুলের শিক্ষার্থী।
আহত আমিরুল হুদা মুবিন ছাগলনাইয়া উপজেলার শুভপুর ইউনিয়ন উত্তর মন্দিয়া গ্রামের হাজী সুলতান আহাম্মদ মেম্বার বাড়ীর সামসুল হুদার ছেলে। বর্তমানে পুরাতন পুলিশ কোয়ার্টার এলাকার বৌ বাজারে ভাড়া বাসায় থাকেন।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নিজাম উদ্দিন জানান, ইতিমধ্যে পুলিশ এজহারে নাম থাকা তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। বাকিদের গ্রেফতারের অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।
ফেনীর পুলিশ সুপার জাকির হাসান বলেন, কিশোর অপরাধ দমনে পুলিশ জিরো টলারেন্স। এদের আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে। কিশোরগ্যাং প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষার্থী ও রাজনৈতিক নেতাদের আন্তরিক হতে হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন