ফেনীর ৩ নদীর বাঁধে ভাঙন, ২০ গ্রাম প্লাবিত
প্রকাশিত : ১৪:৪৩, ৩ আগস্ট ২০২৪
মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতে দেশের বিভিন্ন স্থানে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর তিনটি স্থানে আবারও ভাঙ্গন। লোকালয়ে পানি ঢুকে পানিবন্দি কয়েক হাজার পরিবার।
উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ফেনীর মুহুরি, কহুয়া ও সিলোনিয়া নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের ৩টি স্থান ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ডুকছে। পরশুরামের মুহুরী নদীর দক্ষিণ শালধর, কহুয়া নদীর টেটেশ্বর ও সিলোনিয়া নদীর পশ্চিম মির্জানগর স্থানে ভেঙ্গে অন্তত ২০ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি আছে কয়েক হাজার পরিবার।
পরশুরাম বাজারে পানি ঢুকে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট ও দোকানপাট। ফেনী পরশুরাম সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। বর্তমানে নদীর পানি বিপদসীমার ২শ’ ৫০ সে.মিটার উপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, মুহুরী-কহুয়া-সিলোনীয়া নদীর দুপাশে ১২২ কিলোমিটার বেড়িবাঁধ রয়েছে। নতুন করে যেসব স্থান ভাঙছে পানি একটু নেমে গেলে মেরামত করা হবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের জানায়, ফেনীতে গত ২৪ ঘন্টায় ২৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দুর্যোগ মোকাবেলায় সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে বলছে জেলা প্রশাসন।
কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টিতে জলাবদ্ধ হয়ে পড়েছে সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকা। তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। এতে চলাচলে মারাত্মক দুর্ভোগে পড়ছেন জেলাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা পৌরসভার রাজার বাগান, মুন্সীপাড়া, মুনজিতপুর, কাটিয়া, সুলতানপুরের বিভিন্ন এলাকাসহ জেলার বিভিন্নস্থানে পানি নিষ্কাশনের কার্যকর কোনো ব্যবস্থা না থাকা এবং ভারি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তা-ঘাট। অনেকের বাড়ির উঠানেও জমেছে পানি।
২০০৭ সালের পর এবছর এসে আবারও স্মরণকালের বন্যা দেখলো খাগড়াছড়িবাসী। জেলা সদরের মুসলিম পাড়া, গঞ্জপাড়া, রাজ্যমনি পাড়া, কালাঢেবা, বটতলী তীরবর্তী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়। গেলো রাত থেকে চেঙ্গি ও মাইনী নদীর পানি নামতে শুরু করলেও এখনও আশ্রয়কেন্দ্রে অনেকে। এদিকে রাত থেকে জেলায় বিদ্যুৎ না থাকায় দুর্ভোগে প্লাবিত এলাকার মানুষ।
হিলিতে সকাল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো ভারী কখনো মাঝারি আবার কখনো হালকা বৃষ্টিপাত হচ্ছে। অব্যাহত বৃষ্টিপাতের কারণে মানুষের জনজীবন একেবারে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মানুষজন তেমন একটা ঘর থেকে বাহির হতে পারছেন না। বিভিন্ন সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।
অব্যাহত বর্ষণের ফলে রংপুরের জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। নগরীর নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা জলমগ্ন হয়ে হয়ে পড়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন