ঢাকা, রবিবার   ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪

ফের মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, বিধিনিষেধও মানতে হবে

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১১:৩০, ২৯ জুন ২০২২

গত কয়েকদিনে দেশে ফের কোভিড সংক্রমণ বাড়তে থাকার প্রেক্ষাপটে মাস্ক পরাসহ বিভিন্ন বিধিনিষেধ মানার বাধ্যবাধকতা ফিরিয়েছে সরকার।

মঙ্গলবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে ছয়টি নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এতে বলা হয়, “সাম্প্রতিককালে সারাদেশে কোভিড-১৯ আক্রান্তের হার দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে ও জনগণের মধ্যে মাস্ক পরিধান এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণে যথেষ্ট শৈথিল্য পরিলক্ষিত হচ্ছে মর্মে সরকারের উচ্চ মহলে আলোচনা হচ্ছে।

“কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির গত ১৪ জুন অনুষ্ঠিত সভায় গৃহীত সুপারিশ প্রতিপালনের জন্য এবং কোভিড প্রতিরোধকল্পে নিম্নোক্ত নির্দেশনাসমূহ বাস্তবায়নের জন্য অনুরোধ করা হলো।“

গত বেশ কয়েকদিন থেকে দেশে আবার করোনাভাইরাস সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতির মধ্যে মঙ্গলবার টানা দ্বিতীয় দিনের মতো দুই হাজারের বেশি কোভিড রোগী শনাক্ত এবং তিনজনের মৃত্যুর খবর আসে। 

গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৪৮৯টি নমুনা পরীক্ষা করে ২০৮৭ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়। নমুনা পরীক্ষা অনুযায়ী শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৪৭ শতাংশ। আগেরদিন শনাক্তের হার ছিল ১৫ দশমিক ২০ শতাংশ।

১১ সপ্তাহ পর গত ১২ জুন দৈনিক শনাক্ত কোভিড রোগীর সংখ্যা একশ ছাড়িয়ে যায়। ১৫ দিনের মাথায় সোমবার তা দুই হাজারের ঘরও ছাড়ায়। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ মহামারীর চতুর্থ ঢেউয়ে ঢুকেছে বলে মত জানিয়েছেন দেশের শীর্ষস্থানীয় চিকি ৎসক অধ্যাপক এ বি এম আব্দুল্লাহ। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও ১৬ জুন কিছু বিধিনিষেধ ফেরানোর পরামর্শ দিয়েছিল। এমন প্রেক্ষাপটে সরকারের এ ঘোষণা এল।

২০২০ সালে কোভিড সংক্রমণ শুরু হলে মাস্ক পরাসহ সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দিয়েছিল সরকার। নতুন করে সংক্রমণ বাড়লে জনগণের মধ্যে এ বিষয়ে শিথিলতা এলে নতুন করে আবার তা বাধ্যতামূলক করার কথা জানানো হয় নতুন প্রজ্ঞাপনে।

সরকারের নির্দেশনাগুলো হল-

>> স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য জনসাধারণকে উদ্ভুদ্ধ করতে সব গণমাধ্যমে অনুরোধ জানাতে হবে।

>> সব ক্ষেত্রে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করা, ‘নো মাস্ক নো সার্ভিস’ নীতি প্রয়োগ করা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা, জনসমাগম যথাসম্ভব বর্জন করতে হবে।

>> ধর্মীয় প্রার্থনার স্থানগুলো (যেমন-মসজিদ, মন্দির, গির্জা ইত্যাদি) মাস্ক পরা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। জ্বর, সর্দি, কাশি বা কোডিড ১৯ এর উপসর্গ দেখা দিলে কোভিড টেস্ট করার জন্য উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

>> দোকান, শপিংমল, বাজার, ক্রেতা-বিক্রেতা, হোটেল-রেস্টুরেন্ট সবাইকে বাধ্যতামূলকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। অন্যথায় তাকে আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন এবং মাস্ক পরিধানের বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজে খুতবায় ইমামরা সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন।
এএইচএস/
 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি