ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন
প্রকাশিত : ২২:৫১, ১০ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ২০:৩১, ১২ জানুয়ারি ২০১৮
মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর সুস্থ স্বাভাবিক জীবনে ফেরার জন্য তার দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসার প্রয়োজন। এ জন্য একজন ফিজিওথেরাপিস্ট ও সার্বক্ষণিক নার্সের সহযোগিতা দরকার। একই সাথে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখাও জরুরি।
বুধবার বিকেলে রাজধানীর ধানমণ্ডির ল্যাব এইড হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর শারীরিক পরিস্থিতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানান অর্থপেডিক্স বিভাগের অধ্যাপক ডা. আমজাদ হোসেন।
সংবাদ সম্মেলনে ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর ছেলে কাজী শাকের তুর্জ বলেন, আমার মা আজ জটিল শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে অর্থনৈতিক সংকটে অনিশ্চয়তার মধ্যে চিকিৎসাধীন আছেন। গত ৮ নভেম্বর থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় দুই মাস হয়ে গেল তার বেচে থাকার এই লড়াই যেন শেষ হয় না।
তিনি বলেন, গত ৭ নভেম্বর রাতে ওয়াশরুমে পড়ে গিয়ে তার পায়ের গোড়ালির হাড় সরে যায়। পরদিন পায়ে চোট নিয়ে তিনি ল্যাব এইড হাসপাতালের জরুরি বিভাগে এলে সেখানে তার তিন দফা কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়, ব্লাড প্রেসার ফল করে। এ অবস্থায় প্রথমে অস্থায়ী এবং পরে ১২ নভেম্বর স্থায়ী পেসমেকার সংযোজন করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে কিডনি জটিলতা, উচ্চ-রক্তচাপ, থাইরয়েড এবং উচ্চ-ডায়াবেটিসে ভুগছিলেন।
যে কারণে তার পায়ের অস্ত্রোপচারের কাজটি জটিল এবং ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। পরে চিকিৎসকদের বোর্ড অস্ত্রোপচার পরবর্তী জটিলতার আশংকায় তাকে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন।
তুর্জ বলেন, আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে আমাদের মাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তর করি। সেখানে কয়েক দফায় মেডিক্যাল বোর্ড হওয়ার পর ঝুঁকিপূর্ণ বিবেচনায় ১০ ডিসেম্বর পায়ের সফল অস্ত্রোপচার করা হয়। পরের দিন পুনরায় তার কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। পরে তিনি ৯ দিন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকেন। গত ২০ ডিসেম্বর তাকে বাড়িতে আনা হলে অবস্থার অবনতি হয়। পরে তাকে আবারো ল্যাব এইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মেয়ে ফুলেশ্বরী প্রিয়নন্দিনী বলেন, আমাদের মা শুধু একজন দেশবরেণ্য ভাস্কর নন, তিনি মানবাধিকার কর্মী হিসেবে নির্যাতিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো একজন সাহসী যোদ্ধা। দেশবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সব সময়ই তিনি সামনের কাতারের মানুষ। বর্তমান সরকার আমাদের মা’কে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান স্বাধীনতা পদকসহ মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দিয়েছেন। এখন তার বেঁচে থাকার জন্য একটি সুনিশ্চিত বাসস্থানের প্রয়োজন, সুচিকিৎসার প্রয়োজন।
আর/টিকে
আরও পড়ুন