ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪

ফেসবুক আসক্তি আর মাদকাসক্তি একই ব্যাপার

প্রকাশিত : ১১:৪৮, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগের সাইটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পার করেন অনেকেই। এর ফলে অন্য কাজ করার সময় থাকে না বলে জীবনে ও কর্মক্ষেত্রে তার প্রভাব পড়তে শুরু করে।

যুক্তরাজ্যের হার্লি স্ট্রিট রিহ্যাব ক্লিনিকের একটি গবেষণায় বলা হয়, শিশুর হাতে স্মার্টফোন/ ট্যাব তুলে দেওয়া আর কোকেন বা মদের বোতল তুলে দেওয়া একই কথা। স্মার্টফোন আসক্তি মানুষের মস্তিষ্কের কর্মকাঠামোতে ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে।

ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরোসায়েন্স বিভাগের পরিচালক ড. পিটার হোয়াইব্রোর মতে, স্মার্টফোন/ ট্যাব স্ক্রিন হলো ইলেক্ট্রনিক কোকেন। চীনা গবেষকরা একে বলছেন ডিজিটাল হেরোইন। আর পেন্টাগন ও ইউএস নেভির অ্যাডিকশন রিসার্চ বিভাগ ভিডিও গেম ও স্ক্রিন টেকনোলজিকে অভিহিত করেছে ডিজিটাল মাদক হিসেবে। অনলাইন গেমে আসক্ত ব্যক্তি বাস্তবতা ও কল্পনার মাঝে পার্থক্য করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।

নটিংহ্যাম ট্রেন্ট ইউনিভার্সিটির এক গবেষণায় এ নিয়ে বিস্তারিত বলা হয়। বলা হয়, ফেসবুক যে আসক্তি তা বোঝার জন্যে ফেসবুক ব্যবহারকারীদের আচরণের দিকে তাকানোই যথেষ্ট। জীবনের ব্যাপারে আগ্রহ না থাকা, জেদ, পলায়নী মনোবৃত্তি, মুড নির্ভরতা, গোপন প্রবণতা- ইত্যাদি যে সব বৈশিষ্ট্য একজন আসক্ত মানুষের থাকে, ফেসবুকের অতি ব্যবহারকারীদের মধ্যেও তা দেখা গেছে। এমনকি মাদকাসক্তির চিকিৎসা করানোর সময় রোগীদের মধ্যে যে সব উপসর্গ দেখা যায়, ফেসবুক বন্ধ করে দিলেও একই উপসর্গ দেখা গেছে। মাদক না পেলে একজন আসক্ত যেমন অস্থির হয়ে পড়ে, অশান্ত হয়ে ওঠে, ফেসবুক ব্যবহার করতে না পারলেও তাদের মধ্যে এমনি অস্থিরতা, অশান্তি দেখা দেয়।


Ekushey Television Ltd.


Nagad Limted


© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি