ফেসবুক নেশা থেকে সন্তাদের দূরে রাখবেন যেভাবে
প্রকাশিত : ২১:৩২, ১৭ জুলাই ২০১৭ | আপডেট: ১৭:৩৩, ২০ জুলাই ২০১৭
এ প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের কাছে ফেসবুক ব্যাপক জনপ্রিয় একটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। এছাড়া সবার হাতে হাতে পোঁছে গেছে স্মার্টফোন। ইন্টারনেটের মাধ্যমে তারা নিজেদের অজান্তেই খারাপ দিকগুলোর প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। যা নিয়ন্ত্রণের আপাতত: কোনো উপায় নেই।
নিজেদের পরিচিতি বাড়ানোর জন্য পোস্ট করছে হরেক রকমের ছবি। বন্ধুর সংখ্যা বাড়ানোর জন্য অচেনা ব্যক্তিদেরও বন্ধুর তালিকায় ঠাঁই দিচ্ছে তারা। এতে তারা সোশাল মিডিয়ায় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে।
ঝোঁকের বশে ব্যক্তিগত জীবনের নানা সমস্যাও তারা অকপটে পোস্ট করে দিচ্ছে সোশাল মিডিয়ায়। ফলে বাড়ছে ভুল পথে চালিত হওয়ার ঝুঁকি।
অপ্রয়োজনীয় চ্যাটিং, ছবি হ্যাক করে ভুয়া প্রোফাইল তৈরি করা, হোয়াটসঅ্যাপে সবসময় ব্যস্ত থাকায় সমাজ থেকেও দূরে সরে যাচ্ছে ছেলেমেয়েরা ।
এই কুপ্রভাব থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচতে জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছে।
ইউনিসেফের মতে, ইন্টারনেট বা সোশাল মিডিয়ার অনেক ইতিবাচক দিক আছে ঠিকই। কিন্তু এর পাশাপাশি রয়েছে নেতিবাচক দিকও। স্কুলে স্কুলে সচেতনতা-প্রচার শুরু করলে এখনকার তরুণ প্রজন্মকে ওই কুপ্রভাব থেকে রক্ষা করা যাবে।
স্কুলগলোতে কর্মশালার আয়োজন করা যেতে পারে। কর্মশালায় ইন্টারনেট ও সোশাল মিডিয়ার কুফল নিয়ে আলোচনা, পাঠচক্র করা হবে। পাশাপাশি অভিভাবকদেরও পরামর্শ- তারা যেন সন্তানকে সময় দেন।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেটের কুফল থেকে ছেলেমেয়েদের বাঁচাতে বিকল্প হিসেবে খেলাধুলা বা পরিবারের সদস্যদের সময় দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর সুফল যেমন আছে ,তাঁর বিপরীতে রয়েছে ভয়াবহ কুফল। তরুণ প্রজন্মকে এর নেতিবাচক প্রভাব থেকে মুক্ত করতে না পারলে আমাদের তরুণ প্রাণ শক্তি অচিরেই হারিয়ে যাবে। যা দেশের জন্য অমঙ্গল বয়ে আনবে। তরুণদের ক্ষতির হাত থেকে বাঁচাতে হলে সকলের অংশ গ্রহণ জরুরি।
কেআই/ডব্লিউএন