ফেসবুকে ছবি ট্যাগ করার জেরে সাবেক স্ত্রীকে হত্যা
প্রকাশিত : ১৭:৩৮, ১৮ আগস্ট ২০১৮
চট্টগ্রামের ফয়েস লেক লেকসিটি হোটেলে মাঈনুদ্দিন শাহরিয়াকে হত্যা করেন তাঁর সাবেক স্ত্রী রোকসানা আকতার পপি।২০১২ সালে দু’নের বিয়ে হয় এবং ২০১৫ সালে বিবাহ-বিচ্ছেদ হয়।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার (সিএমপি)মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার আমেনা বেগম।
সংবাদ সম্মেলনে সিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পুলিশ কর্মকর্তা আমেনা সাংবাদিকদের জানান, তাদের দু’জনের ছাড়াছাড়ির পর ফেসবুকে অন্তরঙ্গ ছবি দিয়ে ট্যাগ করায় নৃশংসভাবে এই ঘটনা ঘটিয়েছেন সাবেক স্ত্রী রোকসানা আক্তার পপি।
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ১৫ আগস্ট পপি চীন থেকে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে অবতরণের পরের দিন মাঈনুদ্দিন শাহরিয়া শুভকে নিয়ে ফয়েস লেক লেকসিটি মোটেল ফাইভ হোটেলে রুম ভাড়া নেন।
বৃহস্পতিবার রাতের কোনো এক সময়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাঈনুদ্দিন শাহরিয়ারকে গলা কেটে পালিয়ে যান পপি।পপিকে তাঁদের আল-ফালাহ বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, ২০১৫ সালে দাম্পত্য কলহের কারণে বিচ্ছেদের পর পপি চিকিৎসা বিজ্ঞানে পড়তে চীন চলে যান।মাঈনুদ্দিন শাহরিয়ার তাঁদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ফেসবুকে যুক্ত করার ক্ষোভে এ ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানায় পুলিশ।
সিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার আমেনা বেগম আরও বলেন,‘২০১২ সালের তাঁদের বিবাহ হয় এবং ২০১৫ সালে ডিভোর্স হয়ে যায়। কিন্তু কোনো এক কারণে তারা (পরিবার) জানে না যে, তারা এই হোটেলে অবস্থান করছিল। আমরা পরিধেয় বস্ত্র দেখে যেটা জানতে পারি এবং হোটেল কর্তৃপক্ষের বর্ণনা অনুযায়ী, তাঁর (নিহত মাঈনুদ্দিন) প্রাক্তন স্ত্রী রোকসানা আক্তার পপি, সে এই ঘটনা ঘটিয়েছে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করে।পরিবারের সাথে কথা বলে জানা যায় যে, সে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছে।আমাদের পুলিশ টিম তাকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকারোক্তি দেয় যে, সে ডিভোর্স হওয়ার পরে কিছুদিন আগে এই মৃত মাঈনুদ্দিন মেয়েটির কিছু অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি একটা ফেক আইডি তৈরি করে তাকে ট্যাগ করে এবং দেখানোর কারণে সে ক্রুদ্ধ ছিল এবং রাগের কারণে সে ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে আমাদের প্রাথমিকভাবে জানায়।’
কেআই/
আরও পড়ুন