ঢাকা, রবিবার   ২৪ নভেম্বর ২০২৪

ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে ইবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:১৮, ২০ অক্টোবর ২০১৮

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নাজমুল হাসান নামে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছেন। সে আইন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাদ্দাম হোসেন হলের ২২৯ নং কক্ষে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মা করে সে।

সহপাঠিদের ভাষ্যমতে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে নাদিম, সাগর ও আব্দুল্লাহ নামের কয়েকজন বন্ধুসহ নাজমুল হাসান ক্যাম্পাসে ঘুরতে বের হয়। পরে সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হলের নিজ কক্ষে (২২৯ নং) ফেরে নাজমুল। কক্ষে গিয়ে সে তার বন্ধুদেরকে নিজ কক্ষে ডাকে। তার বন্ধুরা কক্ষের সামনে গেলে দরজা বন্ধ পায়। ডাকাডাকি এক পর্যায়ে সাড়া না পেয়ে দরজা ভাঙ্গলে কক্ষের ভেতরে রশিতে ঝোলানো অবস্থায় নাজমুলকে দেখতে পায় তারা। সঙ্গে সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান নাজমুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

চিকিৎসা কেন্দ্রে কর্তব্যবরত চিকিৎসক বদিউজ্জামান বলেন, ‘চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসার আগেই মারা গেছে নাজমুল।’ এছাড়াও প্রেশার, হাপানি ও চোখের নানা রোগে আক্রান্ত ছিল নাজমুল বলে জানা গেছে। মানসিক হতাশার কারণে নাজমুল আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। শুক্রবার বিকেল পাঁচটার দিকে নাজমুল ফেসবুকে একটি পোষ্ট দেয়। পোষ্টটি ছিল‘একটা রিক্সা চাই, শৈশব ও কৈশোর ফিরে যাবার জন্য।’

নাজমুল হাসান সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার বারাত গ্রামের আব্দুল মালেক গাজী ওরফে ভোলার ছেলে। তার মায়ের নাম রোকেয়া বেগম। বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সে। তার অকাল মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সহপাঠিদের মধ্যে নেমেছে শোকের ছায়া মাতম।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন,‘ আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে কক্ষ ও লাশ পর্যক্ষেণ করা হয়েছে। লাশ কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। পরিবার আসলে কি করা যায় সে বিষয়ে সিন্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।’ 

একে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি