ফোনে বেশি বেশি ম্যাসেজিংয়ে শরীরের ক্ষতি হচ্ছে না তো?
প্রকাশিত : ১২:৪৫, ২ মে ২০২২
আধুনিক জীবনে নতুন নতুন জিনিসে অভ্যস্ত হচ্ছি আমরা। তারমধ্যে এখন সবচেয়ে বেশি আসক্ত হয়েছি ‘টেকস্ট’ কিংবা ম্যাসেজিংয়ে।
অনেকে ফোনে কথা বলার চেয়ে সেজ করতেই বেশি পছন্দ করেন। প্রশ্ন উঠেছে, এ অভ্যাস কী ধরণের প্রভাব ফেলে শরীরে? উত্তর বলছে, এই অভ্যাস কিন্তু মোটেই ভালো নয়।
চিকিৎসকদের কাছে যে রোগীরা যান, তাদের অধিকাংশই পিঠে ব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, গাঁটে ব্যথা কিংবা হাতের ব্যথায় ভুগছেন। চিকিৎসকদের আশঙ্কা, অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারই এই সমস্যার মূলে।
দিনের অনেকটা সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করলে হাতের পেশি ও লিগামেন্টের উপর চাপ পড়ে। দীর্ঘদিন এমনটা হতে থাকলে সেই ব্যথা মেরুদণ্ডের উপরেও প্রভাব ফেলে। মেরুদণ্ড বেঁকেও যেতে পারে। অনেকেই আবার একে বাতের ব্যথার সঙ্গে গুলিয়ে ফেলেন।
চলুন দেখে নেওয়া যাক পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আগে কী কী সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন-
মোবাইলে মেসেজ করা কমাতে হবে। প্রয়োজনে ফোনে কথা বলুন।
মোবাইল কেনার সময়ে লক্ষ্য রাখবেন যেন খুব ভারি না হয়। ভারি মোবাইল হাতে থাকলে পেশীর উপর বেশি চাপ পড়ে।
একটি মোবাইল স্ট্যান্ড কিনতে পারেন। তার উপর মোবাইটি রেখে ব্যবহার করলে সমস্যা কম হবে।
মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময়ে ঘাড় নিচু বা বাঁকা করে না তাকিয়ে বরং ঘাড় সোজা রেখে ফোনটা চোখ বরাবর নিয়ে আসুন। এতে মাথা ও ঘাড়ের উপর চাপ কম পড়বে।
কয়েকটি ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। সর্বপরি মেরুদণ্ডের সংলগ্ন পেশী সচল রাখতে নিয়ম করে কিছু যোগাসন করতেই হবে।
যাদের ঘাড়, কোমর বা পিঠে খুব ব্যথা, তারা একবার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে সঠিক চিকিৎসা, ফিজিওথেরাপি ও আসন শুরু করতে পারেন।
সূত্র: আনন্দবাজার অনলাইন
আরএমএ/