ফোরজি সেবা পেতে করণীয় (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১০:২৮, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
চতুর্থ প্রজন্মের (ফোরজি) টেলিযোগাযোগ সেবা চালু হচ্ছে আজ সোমবার থেকে। অনেকেই হয়তো জানেন না ফোরজি আসলে কি? ফোরজি হচ্ছে ফোর্থ জেনারেশন বা চতুর্থ প্রজন্ম শব্দটির সংক্ষিপ্ত রূপ। এটি ব্যবহৃত হয় চতুর্থ প্রজন্মের তারবিহীন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিকে বুঝাতে। এটি তৃতীয় প্রজন্মের (থ্রিজি) টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তির উত্তরসূরি। ফোরজি প্রযুক্তি ল্যাপটপ, স্মার্টফোন বা অন্যান্য মোবাইল যন্ত্রে মোবাইল ব্রডব্যান্ড মোবাইল আল্ট্রা ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা প্রদান করে থাকে।
এ তো গেলো ফোরজি সম্পর্কে সাধারণ একটি ধারণা। কিন্তু আপনার সিমটি ফোরজি সুবিধা পাচ্ছে কিনা তা হয়তো জানেন না! সেই সমস্যার সমাধান দিবে মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো। আর সিমটি ফোরজি কি না, সেটি জানা যাবে বিনা মূল্যে।
মোবাইল ফোন অপারেটরগুলো কিছু নম্বর দিয়েছে, যা ডায়াল করলে এবং খুদে বার্তা পাঠালেই ফিরতি বার্তা চলে আসবে। আর সংশ্লিষ্ট অপারেটরগুলো সেই বার্তায় জানিয়ে দেবে যে আপনার সিমটি ফোরজি কি না। ইতিমধ্যে মোবাইল অপারেটরগুলো ফোরজি সেবা পেতে আগ্রহী ব্যক্তিদের গ্রাহকসেবা কেন্দ্রে গিয়ে সিম বদলে নেওয়ার জন্যও বার্তা পাঠিয়েছে।
ফোরজি টেলিযোগাযোগ সেবা পেতে
সিমকার্ড ও হ্যান্ডসেটটি এ প্রযুক্তির উপযোগী হতে হবে।
সিমটি ফোরজি কি না, সেটি বিনা মূল্যে জানার সুযোগ আছে।
গ্রামীণফোন ব্যবহারকারীরা মোবাইল ফোন থেকে *১২১*৩২৩২# ডায়াল করলেই ফিরতি বার্তায় সিমটি ফোরজি কি না, তা জানতে পারবেন।
রবির গ্রাহকদের এ জন্য ডায়াল করতে হবে *১২৩*৪৪#।
বাংলালিংকের গ্রাহকেরা মোবাইল ফোন থেকে 4G লিখে ৫০০০ নম্বরে খুদে বার্তা পাঠালে ফিরতি বার্তায় ফোরজি সিমের বিষয়ে তথ্য পাবেন।
টেলিটক তাদের ব্যবহারকারীদের জন্য এখনো এ ধরনের কোনো সেবা চালু করেনি।
সিমটি যদি ফোরজি না হয়
সিমটি যদি ফোরজি না হয় তবে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন অপারেটরের গ্রাহকসেবা কেন্দ্র থেকে পরিবর্তন করে নিতে হবে। এ জন্য মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক) খরচ পড়বে ১১৫ টাকা। সিম পরিবর্তন করতে জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি, ছবি ও আঙুলের ছাপ (বায়োমেট্রিক ভেরিফিকেশন) দিতে হবে।
ফোরজি নেটওয়ার্কে সুবিধা
ফোরজি নেটওয়ার্কে যেসব সুবিধা পাওয়া যায় সেগুলোর মধ্যে সংশোধিত মোবাইল ওয়েব সেবা, আইপি টেলিফোনি, গেমিং সেবা, এইচডিটিভি, হাই-ডেফিনিশন মোবাইল টিভি, ভিডিও কনফারেন্স, ত্রিমাত্রিক টেলিভিশন এবং ক্লাউড কম্পিউটিং উল্লেখযোগ্য।
ফোরজির মূল সুবিধা এই নেটওয়ার্কে সর্বোচ্চ গতিতে তথ্য আদান-প্রদান করা সম্ভব। বলাই হচ্ছে, এর গতি হবে সর্বনিম্ন ১০০ মেগাবাইট। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে হাই ডেফিনিশন টেলিভিশন ও ভিডিও কনফারেন্সের সুবিধা পাওয়া সম্ভব। এ ছাড়া এই প্রযুক্তিতে গ্রাহক সব সময়ই মোবাইল অনলাইন ব্রডব্যান্ডের আওতায় থাকতে পারবে। ফোরজির মাধ্যমে মোবাইলে কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদানের নিরাপত্তা অনেক বেশি ও শক্তিশালী। এ ছাড়া ফোরজি মোবাইল গ্রাহকদের ভয়েস মেসেজ, মাল্টিমিডিয়া মেসেজ, ফ্যাক্স, অডিও-ভিডিও রেকর্ডিংসহ নানা ধরনের সুবিধা দেয়।
এ ছাড়া এর ডাউনলিংকের ক্ষেত্রে লিংক স্পেকট্রাল এফিসিয়েন্সি প্রতি সেকেন্ডে ১৫ বিট এবং আপলিংকের ক্ষেত্রে ৬ দশমিক ৭৫ বিট হবে।
ভিডিওতে দেখে নিন কি করতে হবে :
এসএ/
আরও পড়ুন