‘বংশ পরম্পরায় কোটা সৃষ্টি করছে বৈষম্য’
প্রকাশিত : ১৯:২৫, ২৯ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ২৩:৫২, ৫ এপ্রিল ২০১৮
ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার
অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোটা দেওয়া ঠিক আছে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কোটা সুবিধা দিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে এমনটি আছে বলে আমার জানা নেই। আমাদের দেশে সরকারি চাকরিতে বর্তমানে মোট ৫৬% কোটা দেওয়া হচ্ছে। ১০০ জনের মধ্যে ৫৬ জন যদি কোটার ভেতর দিয়ে আসে তাহলে যোগ্যদের কী হবে? এটি এক ধরনের বৈষম্যও সৃষ্টি করছে।
বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থা ও তরুণ গ্রাজুয়েটদের কর্মসংস্থান নিয়ে একুশে টেলিভিশন অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে এভাবেই নিজের অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব ইনফরফেশন টেকনলজির (আইআইটি) সাবেক চেয়ারম্যান ও এসএম হলের প্রভোস্ট ড. মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার। তার সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে প্রশ্নফাঁস ও তার প্রতিকার, পরীক্ষা পদ্ধতির সংস্কার, চাকরিতে প্রবেশের বয়সীমা, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা, তরুণদের চাকরি সমস্যা সমাধানে করণীয়, আইটি সেক্টরে চাকরির সম্ভাবনাসহ নানা দিক। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন একুশে টিভি অনলাইন প্রতিবেদক আলী আদনান। এর চুম্বক অংশ পাঠকদের উদ্দেশে তুলে ধরা হলো-
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ দেশের তরুণদের একটি অংশ কোটা পদ্ধতি বাতিল দাবিতে আন্দোলন করছে। কোটাধারীরা এই পদ্ধতি টিকিয়ে রাখার পক্ষে। আপনি কাদের দাবিকে যুক্তিসঙ্গত মনে করছেন?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ অনগ্রসর জনগোষ্টীর জন্য একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোটা দেওয়া ঠিক আছে। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য লাগাতার কোটা দিয়ে যাওয়ার কোনো মানে হয় না। আমাদের এখানে এখন ৫৬% কোটা দেওয়া হচ্ছে। ১০০ জনের মধ্যে ৫৬ জন যদি কোটার ভেতর দিয়ে আসে তাহলে তো যোগ্যরা বঞ্চিত হবেই। এটা কিন্তু সংবিধান সাপোর্ট করে না। সংবিধান বলছে অনগ্রসর গোষ্ঠীর জন্য কোটা। এই ৫৬ভাগের অধিকাংশই কিন্তু অনগ্রসর নয়। একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোটা দিয়ে নির্দিষ্ট সময় পরপর তার মূল্যায়ন করা উচিত। কিন্তু আমাদের এখানে যেভাবে বংশ পরষ্পরায় কোটা দেওয়া হচ্ছে এটি বড় ধরণের বৈষম্য সৃষ্টি করছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ দেশের সব মেধাবীদেরকে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ দেওয়া যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে কী করা যেতে পারে?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ সব ছেলেমেয়ের বিশ্ববিদ্যালয়ে-ই পড়তে হবে, এমন তো কথা নেই। তবে হ্যাঁ, যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারবে না বা পারছে না তাকেও সামাজিক বা রাষ্ট্রীয়ভাবে খাটো করে দেখার অবকাশ নেই। আমাদের দেখা উচিত, রাষ্ট্রের কোন ক্ষেত্রে কী রকম চাহিদা আছে? রাষ্ট্রের চাহিদার উপর ভিত্তি করে জনশক্তি গড়ে তোলা উচিত। যে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারছে না, সে ডিপ্লোমা পড়বে। তাকে এমন শিক্ষা দেওয়া উচিত যাতে সে নিজে কিছু করতে পারে। অন্যদের চাকরির ব্যাবস্থা করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে না পারলে যে, সব শেষ এমন একটা দৃষ্টিভঙ্গি আমাদের এখানে গড়ে তোলা হচ্ছে। এটি ভুল।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ প্রশ্নফাঁসের জন্য প্রযুক্তিকে দায়ী করা হচ্ছে। এই অভিযোগের সঙ্গে আপনি কতটুকু একমত?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দার: না, এ অভিযোগের সঙ্গে আমি মোটেও একমত নই। প্রযুক্তির পেছনে থাকে মানুষ। প্রযুক্তি উদ্ভাবিত হয়েছে মানুষের কল্যাণের জন্য। প্রযুক্তিকে ভালো খারাপ দু`ভাবেই ব্যবহার করা যায়। প্রশ্ন হচ্ছে এখানে সিস্টেমটা কেমন? সিস্টেম যদি ভালো সিস্টেম হয়, প্রযুক্তি যদি সেই সিস্টেমে খাপ খাওয়ানো যায় ও মানুষগুলো যদি প্রশিক্ষিত হয়, তাহলে প্রযুক্তির অপব্যবহার করা সম্ভব না। একই প্রযুক্তি ব্যবহার করে টোফেল পরীক্ষাও হয়। সেখানে তো এসব অভিযোগ আসছে না। আসুন, আমরা বাইরের রাষ্ট্রে যাই। আমরা পড়ালেখা করেছি জাপানে। আমার আগে পরে সেখানে আমার অনেক সিনিয়র- জুনিয়র ভাইয়েরা পড়াশুনা করেছেন। শেখার পরিবেশ আরও অনেক বেশি প্রযুক্তিবান্ধব। কই, সেখানে তো প্রশ্নফাঁস হচ্ছে না। সমস্যাটি একান্তই আমাদের আঞ্চলিক সমস্যা। এটার জন্য কোনোভাবেই প্রযুক্তি দায়ী না।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় মূল গলদটা কোথায় বলে আপনি মনে করেন?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ একটা শিক্ষাব্যবস্থায় সঠিক ও মানসম্মত করার জন্য চারটি বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া দরকার। যথা: ১. এ্যাটিটিউট ২.ভ্যালুজ ৩. নলেজ ৪. স্কীল।
আমাদের এখানে শুধু মোমোরাইজেশনটা হয়। যেটাকে আমরা বলি `নলেজ`। স্বাভাবিকভাবে যেটাকে মুখস্থ করে বা বুঝে আয়ত্ত করার চেষ্টা করি। বাকি তিনটা কিন্তু আমাদের শিক্ষা ব্যাবস্থায় অনুপুস্থিত। একটা জাতির কেমন দৃষ্টিভঙ্গি গড়ে উঠা উচিত তা আমরা শেখাই না। আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রে কোনো মূল্যবোধ নেই। কোনটা করা উচিত, কোনটা করা উচিত না তাও আমরা শেখাতে পারিনি বা পারছি না। আর স্কীল তো পুরোপুরি অনুপুস্থিত। আমাদের সিলেবাসের বড় অংশটাই কর্মমুখী শিক্ষাহীন। যা আমাদের শিক্ষার্থীদের কোনো দক্ষতা অর্জনে সহায়তা করে না। ফলে এসব ছাড়া শুধু জ্ঞান দিয়ে খুব বেশি দূর এগোনো যায় না।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ সেক্ষেত্রে শিক্ষাব্যাবস্থায় কেমন পরিবর্তন আবশ্যক?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ মানুষ শিক্ষা লাভ করে মানসম্মত ও সুন্দর জীবন যাপনের জন্য। যে শিক্ষা মানুষের জীবন যাপনে প্রভাব ফেলে না তা অর্থহীন। আমি চাই আমাদের প্রেক্ষাপট বিবেচনা করে প্রয়োজনটাকে মাথায় রেখে আমাদের শিক্ষাব্যাবস্থা সাজানো হোক। যেমন ধরুন, আমাদের এখান থেকে প্রচুর ছেলে কওমী মাদ্রাসা থেকে বের হচ্ছে। কিন্তু চাকরি জীবনে সে কওমী বিদ্যা কোথায় কাজে লাগাবে? ঠিক তেমনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক অপ্রয়োজনীয় বিষয় পড়ানো হয়, যা কর্মজীবনে কোনো কাজ দেবে না বা দেয় না। আমি সেটার পক্ষপাতী নই। আমি পড়তে নিষেধ করছি না। কিন্তু পড়াটা এমন অবকাঠামোতে নিয়ে আসা উচিত যাতে তা দেশের কাজে লাগানো সম্ভব।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আমাদের পরীক্ষা পদ্ধতি কতটা মানসম্মত?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ আমরা পরীক্ষা নিয়ে নানা ধরণের পরীক্ষা নিরীক্ষা ইতোমধ্যে চালিয়েছে। সৃজনশীল ও নৈর্বত্তিক- এর বিরুদ্ধেও অনেক অভিযোগ আসছে। প্রশ্ন হলো আমরা কী চাই? আমাদের এই পরীক্ষা পদ্ধতিতে যেটা চাওয়া হয় সেটা হলো আমাদের ছেলেমেয়েরা কতটুকু মুখস্থ করতে পেরেছে। যা মুখস্থ করেছে তা সে লিখতে পারছে কি না বা বহি:প্রকাশ করতে পারছে কি না? কিন্তু সেটা হওয়া ঠিক হয়নি। পরীক্ষা পদ্ধতি এমনভাবে সাজানো দরকার ছিল, যাতে বুঝা যায়, আমাদের ছাত্রছাত্রীরা পড়াটা বুঝতে পেরেছে কি না? যা বুঝেছে তা কাজে লাগাতে পারছে কি না?
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ প্রযুক্তি শিক্ষায় বাংলাদেশ কতটা এগিয়েছে? এটা কী যথেষ্ট?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ প্রযুক্তি শিক্ষার মাপকাঠি কোনো একটা দেশে কোনো একটা দিকে হঠাৎ করে এগিয়ে যাওয়া না। দেশে যেটা থাকে সেটাকে গুছিয়ে কাজে লাগানো। একটা উদাহরণ দিই। ধরুন, আমাদের প্রাইভেট ইউনিভার্সিটির একটা ছেলে খুব অল্প পরিশ্রমে পাস করে বের হয়। কোন সেশন জটে তাকে আটকাতে হয় না। পক্ষান্তরে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে একটা ছেলেকে অনেক বেশি পরিশ্রম করছে। পাশাপাশি সেশন জটসহ নানা কারণে তার সময় নষ্ট হয়। অর্থাৎ আমাদের এখানে প্রত্যেকে যার যার ইচ্ছে মতো এগিয়ে যাচ্ছে। এটা রাষ্ট্রের ব্যর্থতা। রাষ্ট্রকে যা করতে হবে সেটা হলো পুরো বিষয়টাকে একটা ফ্রেমওয়ার্কে নিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের অনেক দেশে একটা বোর্ড থাকে।
রাষ্ট্রের চাহিদা অনুযায়ী সেই বোর্ড অনুমোদন দেয়- কতজন ডাক্তার দরকার, ইঞ্জিনিয়ার দরকার, বিজ্ঞানী দরকার। আমাদের কতজন শিক্ষিত হচ্ছে এটা যেমন ভাববার বিষয়, আবার শিক্ষাটাকে কাজে লাগাতে পারছি কি-না সেটাও ভাববার বিষয়।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনি কোন ধরনের শিক্ষাব্যবস্থার সুপারিশ করবেন?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ আমি প্রথমত এতগুলো পাবলিক পরীক্ষা সমর্থন করি না। এতগুলো পাবলিক চাপিয়ে দিয়ে আমি কী করতে চাচ্ছি? ক্লাস ফাইভ বা ক্লাস এইটের একটা বাচ্চা এতগুলো পরীক্ষার চাপে তার সুন্দর শৈশবের অনেক কিছু থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, তার এই সার্টিফিকেট সে কোথায় কাজে লাগাবে? বিশ্বের অধিকাংশ দেশে টুয়েলভ ক্লাসের আগে কোনো পরীক্ষা নাই। বইয়ের ব্যাগ বহন করতে করতে যার শৈশব ও কৈশোরের সময় চুরি হয়ে যাচ্ছে সে কীভাবে সুস্থ মানুষ হিসেবে বড় হবে?
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আমাদের বেকারত্বের জন্য কর্মমুখী শিক্ষার অভাবকে দায়ী করা যায়?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় যেসব ছেলেমেয়ে প্রতিবছর বের হচ্ছে তাদেরকে আমরা নিজেরা কিছু করতে শেখাচ্ছি না। হ্যাঁ, অনেকে প্রতিকূল স্রোতে লড়াই করে কেউ কেউ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু ব্যাতিক্রম তো ব্যাতিক্রমই। অধিকাংশ ছেলেমেয়ের সার্ভ করার জন্য বা চাকরি করার জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বের হয়। কিন্তু আমাদের মার্কেটটা অতো বড় না। তাহলে সে চাকরিটা করবে কোথায়? নিজে কিছু করা বা কাজের ক্ষেত্র সৃষ্টি করার জন্য আমাদের তরুণদের উৎসাহিত করা উচিত।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনি বিদেশে পড়ালেখা করেছেন। সেই অভিজ্ঞতা থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের প্রজন্মকে কতটুকু সম্ভাবনাময়ী মনে করছেন?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ পৃথিবীতে বড় ধরণের একটা পরিবর্তন হয়েছে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বলা হতো। এখন বলা হয় এডুকেশন ইন্ডাষ্ট্রি। একজন ছাত্র যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করে বের হয়, তখন তাকে আঞ্চলিক বা দেশীয় বাজারে নয়, বরং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার মুখোমুখি হতে হয়। বলতে দ্বিধা নেই, আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সে প্রতিযোগিতায় তাল মিলাতে পারেনি। ফলে বিশ্ববাজারে আমাদের দেশের লোকেরা পিছিয়ে গেছে। পক্ষান্তরে আমাদের দেশে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে প্রচুর লোক এসে কাজ করছে। শুধুমাত্র রফতানি বাণিজ্যের অন্যতম খাত গার্মেন্টস সেক্টরেই কয়েক লাখ বিদেশী কাজ করছেন। প্রশ্নটা হচ্ছে কেন? উত্তর হচ্ছে, আমরা পারছি না বলেই ওরা সুযোগটা নিচ্ছে। এটাই গ্লোবাল কম্পিটিশন। আমরা যদি নিজেদের প্রস্তুত করতে পারি তাহলে আমাদের প্রচুর প্রচুর সুযোগ আছে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আমাদের লোকেরাও তো বিদেশে কাজ করছে।
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ হ্যাঁ, আমাদের লোকেরা বাইরে কাজ করছে। যাদের বেশিরভাগই স্কীল লেবার বা সেমি স্কীল লেবার। সম্প্রতি আইটিতে কিছু কিছু লোক যাচ্ছে। আমি বলছি, আমাদের সামনে সুযোগ আছে। সুযোগ কতটুকু কাজে লাগাতে পারবো তা আমাদের উপর নির্ভর করবে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ বেশ কিছুদিন ধরে ড. জাফর ইকবাল একটা অভিযোগ করে আসছেন। তা হলো ভার্চুয়াল আসক্তি তরুণ প্রজন্মকে ঝুঁকির মুখে ফেলছে। আপনি এ কথার সঙ্গে কী একমত?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ নতুন কোনো জিনিস যখন আসে তরুণরা সেটা সবার আগে গ্রহণ করে। এটা খারাপ না। তরুণরা কৌতুহলী। তারা গ্রহণ করবে। নাড়াচাড়া করবে। উদ্ভাবন করবে। এটাই স্বাভাবিক। কখনো কখনো এটাকেই আমরা আসক্তি বলি। কিন্তু সময়ের ব্যাবধানে আপনি যদি সেটার সঠিক ব্যাবহার করতে পারেন, তাহলে সেটা আসক্তি না হয়ে আশির্বাদ হয়ে যেতে পারে।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আমাদের যুব সমাজকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ আমি খুবই আশাবাদী। আমরা খুব সৌভাগ্যবান জাতি। আমাদের মোট জনসংখ্যার বড় অংশটি ২২ থেকে ৩২ এর মধ্যে বয়সসীমা পার করছে। একটা দেশের জন্য এটা একটা বড় বোনাস। আমরা যদি ঠিকভাবে এটা ব্যবহার করতে পারি তাহলে দেশ অর্থনৈতিকভাবে অনেক এগিয়ে যাবে। আমরা সচেতনভাবে কতটুকু কাজে লাগাতে পারছি সেটাই প্রশ্ন।
একুশে টেলিভিশন অনলাইনঃ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
মাহবুবুল আলম জোয়ার্দারঃ আপনাকেও ধন্যবাদ।
/ এআর /
আরও পড়ুন