বিতরণ হবে ৩৬ কোটি ২১ লাখ
বই উৎসবের অপেক্ষায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা
প্রকাশিত : ১৩:২৩, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১৭:০০, ১৩ জুলাই ২০২০
বই উৎসবের অপেক্ষায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। নতুন বই পৌছে দেওয়া হচ্ছে উপজেলা উপজেলায়।
প্রতিবারের মতো এবারও বছরের শুরুতেই সারাদেশে প্রাক-প্রাথমিক থেকে নবম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিতে কাজ করছে সরকার। ইতোমধ্যে ৯৭ শতাংশ পাঠ্যপুস্তক উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। এ সপ্তাহের মধ্যে বাকি বই স্কুলে পৌঁছে যাবে। এখন উৎসবের জন্য রাজধানীসহ বিভিন্ন উপজেলা পর্যায়ে প্রস্তুতি চলছে। এখন শুধু বই উৎসবের অপেক্ষা। বর্ণাঢ্য আয়োজনে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১ জানুয়ারি।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সারাদেশের প্রাক-প্রাথমিক, মাধ্যমিক, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৫ হাজার ৯২৯ জন শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৬ কোটি ২১ লাখ ৮২ হাজার ২৪৫টি বই বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।
২০১৭ শিক্ষাবর্ষে ৩৫ কোটি ৪২ লাখ ৯০ হাজার ১৬২টি বই ছাত্রছাত্রীদের মাঝে বিতরণ করা হয়। গত বছরের চেয়ে এবার ১০ লাখ ৭০ হাজার ৯৬৬ জন শিক্ষার্থী বেড়েছে। বই বেশি ছাপা হয়েছে ৭১ লাখ ৯৩ হাজার ৩৬৯টি। বইগুলো আকর্ষণীয় ও রঙিন। নবম-দশম শ্রেণির ১২টি সুখপাঠ্য বই দামী কাগজে রঙিন ছবিসহ ছাপা হয়েছে। আগামী ৩০ ডিসেম্বর তা আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হবে। ১ জানুয়ারি ঢাকার আজিমপুর গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ প্রাঙ্গনে বই উৎসবের মাধ্যমে বই বিতরণ করা হবে। একই দিন সারা দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেওয়া হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুষ্ঠানে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, কারিগরি ও মাদ্রাসা বিভাগের সচিব মো. আলমগীর, এনসিটিবির চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও এর অধীনস্থ দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, দেশের মাধ্যমিক স্তরের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উৎসব উদযাপন করা হবে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ উৎসবে উপস্থিত থাকবেন।
এনসিটিবি বই বিতরণের সর্বশেষ পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেছে, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য বই নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। বই ছাপা ও সরবরাহের কাজ এক প্রকার শেষ। বছরের প্রথমদিনই দেশের সব ছাত্রছাত্রী নতুন চকচকে বই পাবে বিনামূল্যে। এবারও উৎসবমুখর পরিবেশে বই বিতরণ করা হবে। এ উৎসব চলবে নতুন বছরের শুরু থেকে সপ্তাহব্যাপী। দেশের স্বার্থে সরকারের এই পরিকল্পনা সফল করতে সবার সহযোগিতা চেয়েছেন এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক নারায়ণ চন্দ্র পাল।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি ইটিভি অনলাইনকে বলেন, ছেঁড়া-ফাটা বই নিয়ে মাদুরে বসে পণ্ডিত মশাইয়ের কাছে শিক্ষা নেওয়ার সেই দিন বদলেছে। এখন প্রায় সব শিক্ষার্থী পাকা ভবনে বেঞ্চে বসে। বিনা মূল্যে বই বিতরণের এই উদ্যোগ যেমন প্রশংসিত হয়েছে, তেমনি শিক্ষা আধুনিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এসেছে বলেও দাবি করেন তিনি। পাঠ্যপুস্তক ছাপা ও সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক বিতণের প্রস্তুতির সর্বশেষ অবস্থা তুলে ধরে বলেন, ২০১৮ শিক্ষাবর্ষের জন্য ইতোমধ্যে সারা দেশে ৯৭ শতাংশ বই পৌঁছে গেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে বাকি বই পৌঁছে যাবে। প্রতিবারের মতো এবারও বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেওয়া হবে।
/ডিডি/