বকেয়া কর পরিশোধেএনবিআর’র হালখাতা
প্রকাশিত : ২৩:১৩, ১০ এপ্রিল ২০১৮
বকেয়া কর আদায়ে আগামী ১৫এপ্রিল রাজস্ব হালখাতা করবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রতিটি কর অফিসে ওই দিন উৎসবমুখর পরিবেশে এ হালখাতা অনুষ্ঠিত হবে। সকল প্রকার বকেয়া কর পরিশোধকারীদের প্রণোদনা (ইনসেনটিভ) দেওয়ার পাশাপাশি মিষ্টিমুখ করানো হবে।
মঙ্গলবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ড মিলনায়তনে অর্থনীতিবিদদের সঙ্গে প্রাক বাজেট আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এনবিআর চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এসব তথ্য জানান।
মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া জানান, এখন বকেয়া করের পরিমাণ ৫০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। অনাদায়ী বিপুল এই রাজস্বের সঙ্গে জড়িয়ে আছে বিভিন্ন মামলা।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এখনও অনেক অনাদায়ী ভ্যাট এবং ট্যাক্স আছে। যেগুলো বছরের পর বছর ধরে অনাদায়ী। করদাতারা কর ফাঁকি দেওয়া ও বিলম্বিত করার সুযোগ খোঁজেন। কেউ কেউ ট্যাক্স ধার্যের অভিযোগে মামলা করেছেন। আবার অনেক প্রতিষ্ঠান কর ফাঁকি দিয়ে দেশ ছেড়ে চলে যায়।
বর্তমানে যেসব মামলা বিচারধীন আছে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির মাধ্যমে সেগুলোর বকেয়া কর পরিশোধের আহবান জানান তিনি।
এনবিআর চেয়ারম্যান আরো বলেন, আগামী ১৫ এপ্রিল (রোববার) সারাদেশে ‘রাজস্ব হালখাতা ও বৈশাখী উৎসব’ পালন করা হবে। ওই দিন কিছু উপহার দেওয়ার ব্যবস্থাও থাকবে। যারা বকেয়া রাজস্ব পরিশোধ করবে তাদের জন্য কিছু ইনসেনটিভের ব্যবস্থা করা হবে।
প্রাক-বাজেট আলোচনায় গবেষণা সংস্থা পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বক্তব্য রাখেন। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আগামী বাজেটে করপোরেট কর কমাতে হবে। সারচার্জ নীতিতে সংশোধন আনতে হবে। আর এখনই নতুন ভ্যাট আইন বাস্তবায়ন করা উচিত।
অর্থনৈতিক বিশ্লেষক মামুন রশীদ বলেন, `বাংলাদেশে এ মুহূর্তে বিনিয়োগের মহাযজ্ঞ দরকার। এতে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ের বিনিয়োগে সমন্বয় ঘটবে। কর্মসংস্থান বাড়বে, অর্থনীতিতে ভারসাম্য তৈরি হবে। ব্যবসায়ীরা যেন অর্থের পুনঃবিনিয়োগ করতে পারে, সে সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক আবু আহমেদ বলেন, ‘পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী করতে বাজেট ইয়ারি সহায়তা করতে হবে। তালিকাভুক্ত কোম্পানির জন্য বাজেটে করপোরেট কর কমাতে হবে। সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ কমিয়ে তা পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে হবে। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ‘ট্রান্সফার প্রাইজিং’ এর মাধ্যমে অর্থ পাচার করছে, তা দ্রুতই রোধ করতে হবে।
অর্থনীতিবিদদের এসব প্রস্তাবনা পর্যালোচনা করা হবে বলে জানান এনবিআর চেয়ারম্যান।
আর/টিকে
আরও পড়ুন