বখাটের ছুরিকাঘাতে ৫ শিক্ষার্থী আহত, ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৩:৪৬, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | আপডেট: ১৩:৫০, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সিরাজগঞ্জের বেলকুচির রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে বখাটেকে স্কুলে প্রবেশে বাধা দেয়ায় দারোয়ানের সাথে বাকবিতণ্ডা ও ছুড়ির আঘাতে বিদ্যালয়ের ৫ শিক্ষার্থীকে আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে অভিযুক্ত আটক আজিম আকন্দকে পুলিশ ছেড়ে দেয়ায় ওসির বিরুদ্ধে পক্ষপাতের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয়রা।
আহতদের মধে দশম শ্রেণীর ছাত্র শুভ (১৪)কে আশংকাজনক অবস্থায় রোববার রাতে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। প্রথমে তাকে সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।
সিরাজগঞ্জ বিএল স্কুলের নবম শ্রেণীর ছাত্র ও সমেষপুর গ্রামের সোনাউল্লার ছেলে আজিম আকন্দ (১৪) ধারালো ছুরি নিয়ে এ হামলা চালান। তাকে বিক্ষুব্ধ জনতা আটকের পর থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করলে রাতে পুলিশ শিশু-কিশোর বলে ছেড়ে দেন।
অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পদক্ষেপে বেলকুচি থানার ওসির বিরুদ্ধে গড়িমাসির অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে রোববার সকাল ১১টার দিকে বিদ্যালয়ের ফটকে এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে নিন্দার ঝড় বইছে। এতে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী ছোট বোন সুমাইয়াকে মোটরবাইকে নিয়ে স্কুলে আসে তার বড় ভাই আজিম আকন্দ। স্কুলে এসেম্বলি চলার সময় প্রধান শিক্ষকের নির্দেশ অনুযায়ী ফটোকে দায়োয়ান আব্দুল আউয়াল মোটরসাইকেল নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করতে না দিলেই শুরু হয় বাকবিতণ্ডা। পরে সেখান থেকে বাড়ি এসে আবার স্কুলে পুনরায় প্রবেশ করা মাত্রই দারোয়ানের সাথে বাকবিতণ্ডার সময় কয়েকজন ছাত্র এসে প্রতিবাদ করলে আজিম ধারালো ছুরি দিয়ে ৫ শিক্ষার্থীকে আঘাত করে।
স্থানীয়রা আজিমকে আটক ও আহতদের সিরাজগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এম মধ্যে গলায় ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত শুভ শেখের অবস্থা আশংকাজনক বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
আটক আজিম আকন্দকে থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। পরে আহততের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ দেয়া হলেও রাতে ছেড়ে দেয়া হয় আজিমকে। এ নিয়ে এলাকা জুড়ে পুলিশের দায়িত্বহীনতাকে দুষছেন স্থানীয়রা।
রাজাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল মমিন ও এলাকার কয়েকজন দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা জানান, অনাকাঙ্খিত এ ঘটনার জন্য পুরোপুরী আজিম দায়ী। স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশেই দারোয়ান মোটরসাইকেল নিয়ে আজিমকে স্কুলে প্রবেশ করতে দেয়নি। ক্ষোপ থেকেই সে এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
বেলকুচি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাকেরিয়া হোসেন জানান, ওই ঘটনায় নবম শ্রেণীর ছাত্র আজিমকে থানায় আনা হলেও শিশু-কিশোর হওয়ায় তাকে পরিবারের জিম্মায় ছেড়ে দেয়া হয়েছে। তবে এজন্য দুই পক্ষের দায় রয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন