বগুড়ায় ছাত্রী ধর্ষণের আলামত মিলেছে
প্রকাশিত : ১২:১৫, ৪ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৬, ১৪ আগস্ট ২০১৭
বগুড়ায় নির্যাতনের শিকার ছাত্রীকে ধর্ষণের আলামত মিলেছে ডাক্তারি পরীক্ষায়। ডাক্তারি পরীক্ষার প্রতিবেদন এরইমধ্যে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতে পৌছেছে।
বগুড়ার জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আবুল কালাম আজাদ শুক্রবার গণমাধ্যমকে ধর্ষণের আলামত পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, চিকিৎসকদের দেয়া প্রতিবেদনে ছাত্রী ধর্ষণের আলামত মিলেছে। প্রতিবেদনে মেয়েটি প্রাপ্তবয়স্ক নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ১৭ জুলাই বাড়ি থেকে ক্যাডার দিয়ে তুলে নিয়ে গিয়ে ওই ছাত্রীকে বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক তুফান সরকার ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দলীয় ক্যাডার এবং এক নারী কাউন্সিলরকে ধর্ষণের শিকার মেয়েটির পেছনে লেলিয়ে দেন তুফান। ২৮ জুলাই বিকেলে তাঁরা ওই ছাত্রী ও তার মাকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে চার ঘণ্টা ধরে নির্যাতন চালান। এরপর দুজনেরই মাথা ন্যাড়া করে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় এই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে ২৮ জুলাই রাতে তুফান সরকার, তাঁর স্ত্রী আশা সরকারসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নির্যাতনের অভিযোগে দুটি মামলা করেন। এর মধ্যে এজাহারভুক্ত নয়জনসহ মোট ১১ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
মামলার প্রধান আসামি তুফান সরকার, তার স্ত্রী বড়বোন মার্জিয়া আকতার এবং সহযোগী মুন্নার দ্বিতীয়দফা রিমান্ড শেষে আজ আদালতে হাজির করা হচ্ছে। অন্যদিকে তুফানের স্ত্রী আশা সরকার এবং শাশুড়ি রুমি বেগমকে বৃহষ্পতিবার অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম শ্যামসুন্দর রায়ের আদালতে হাজির করে তৃতীয় দফায় পাঁচদিনের রিমান্ড চাইলেও আদালত জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়ে তাদের কারাগারে পাঠান। এ মামলায় ইতিমধ্যে তুফানের সহযোগী আতিক এবং ক্ষৌরকার ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন।
//আর//এআর
আরও পড়ুন