বগুড়ায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি
প্রকাশিত : ১৭:০৮, ৫ জুলাই ২০২৪
উজান থেকে আসা ঢলে বগুড়ায় যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত আছে। বন্যার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সারিয়াকান্দির বাঁধের পূর্ব পাড়ের ১৭টি ইউনিয়ন প্লবিত হয়েছে। ওইসব অঞ্চলের সাড়ে ২২ হাজার পরিবারের ৭৮ হাজার ৩২৩ জন মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েছে এমনটি জানিয়েছে জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া। জেলা প্রশাসক শুক্রবার নিজে বন্যা কবলিত এলাকার পানি বন্দি মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করেছেন।
পানি উন্নয়ণ বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ন কবির জানান, শুক্রবার বেলা ৩টায় যমুনার পানি সারিয়াকান্দি পয়েন্টে বিপদ সীমার ৫৬ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় সারিয়াকান্দি পয়েন্টে যমুনার পানি ৩২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। সারিয়াকান্দি পয়েন্টে পানি উন্নয়ণ বোর্ডের দেয়া যমুনার বিপদ সীমা ১৬ দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার। শুক্রবার বেলা ১২টায় ৫৬ সেন্টিমিটার বন্যার পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ১৬ দশমিক ৮১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মতলুবর রহমান জানান, শুধু সারিয়াকান্দিতে ১০৮৫ হেক্টর জমির আউস ধান, ভূট্টা পাট ও সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে।
এ দিকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম আজ সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলা বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছন । তিনি সোনাতলা উপজেলার বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ৫০ টন চাল বিতরণ করেছেন। বৃহস্পতিবার তিনি সারিয়াকান্দিতে ১০০ টন চাল বন্য দুর্গতদের মধ্যে বিতরণ করেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, যতদিন বন্যা আছে ততোদিন বন্যা কবলিত মানুষের মধ্যে ত্রাণ দেয়া হবে। তিনি বলেন- ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে ১০ লাখ টাকা, ৫০০ প্যাকেট শুকনা খাবার (ডাল,চিড়া, তেল, পাউরুটি, পানি ও পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যবালেটসহ বিভিন্ন উপকরণ) পাওয়া গেছে। প্রয়োজনে জেলা প্রশাসক স্থানীয়ভাবে ত্রাণের ব্যবস্থা করবেন।
সূত্র: বাসস
এসবি/
আরও পড়ুন