‘বঙ্গ সম্মেলন’ ঘিরে আলোকিত আটলান্টিক সিটি
প্রকাশিত : ১০:৩১, ৫ জুলাই ২০২৩ | আপডেট: ১০:৩৪, ৫ জুলাই ২০২৩
মশাল প্রজ্জ্বলন ও শোভাযাত্রাসহ বর্ণাঢ্য আয়োজনে যুক্তরাষ্ট্রের আটলান্টিক সিটিতে শেষ হলো ৪৩তম উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন। আটলান্টিক সিটিতে তৃতীয়বারের এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশ ও ভারতের হাজারো মানুষ।
১৯৮১ সালে প্রথমবারের মতো আটলান্টিক সিটিতে উত্তর আমেরিকা বঙ্গ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তবে এবারের সম্মেলন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্মেলনের আঞ্চলিক পরিচালক মিল্টন চৌধুরী বলেন, এই সম্মেলন কেবল ৪ জুলাই আমেরিকার স্বাধীনতা দিবসকেই বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত করে না, বরং ব্রিটিশ উপনিবেশ থেকে ৭৫ বছর আগে ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতাকেও তুলে ধরে। সম্মেলনে যে মশাল আলো জ্বালানো হয়েছে সেটি স্বাধীনতার আলোকেই বোঝায়।
অনুষ্ঠানটি বাদের ফিল্ড থেকে শুরু হয়ে আলবানি অ্যাভিনিউ বোর্ডওয়াক পর্যন্ত চলে যায়। কয়েকটি বাংলা সাংস্কৃতিক গানের পর অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা কেনেডি প্লাজায় আলোর মিছিলে অংশ নেন।
অনন্য ও বৈচিত্র্যপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে খুশি নিউ জার্সির ইউনিয়ন কাউন্টির স্কচ প্লেইন্সের সোমালি নেন্ডি। দুই মেয়ে ও স্বামীকে নিয়ে তিনি এই অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।
তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠান কেবল নিউ জার্সি থেকে নয়, গোট দেশের (বাঙালি) সম্প্রদায়কে একত্রিত করেছে। স্থানীয় বাঙালি সংগঠনগুলো সারাবছর জুড়ে তাদের বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে। তবে সবচেয়ে বেশি অনুষ্ঠান হয় শরত্কাল ও শীতের মাসগুলোতে। যেমন- অক্টোবরে দুর্গাপূজা ও জানুয়ারির শুরুতে স্বরসতী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। অনেক সময় একইসঙ্গে সাত থেকে আটটি অনুষ্ঠানের কারণে এই সম্প্রদায়ের সবার সঙ্গে সাক্ষাত করা কঠিন হয়ে পড়ে।
শোভাযাত্রায় উজ্জ্বল ঐতিহ্যবাহী সুতি আর সিল্কের বাঙালি শাড়ি পরে কয়েক ডজন নারী সুরে সুরে গান করেছেন। সেখানে পুরুষরা পরে প্রচলিত ধুতি প্যান্ট ও পাঞ্জাবি।
সম্মেলনের আয়োজক বাংলাদেশী হিন্দু গোষ্ঠী শ্রী শ্রী গীতা সংঘ। এর সভাপতি বিপ্লব পেবেব বলেন, লোকেরা ঐক্যবদ্ধভাবে শোভাযাত্রার পাশাপাশি ঐতিহ্যবাহী ঢোল বাজিয়েছে। কেউ বাঙালি সংস্কৃতির কারুকার্য তুলে ধরেছেন। কেউ আবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মত বাঙালি নেতাদের প্রতিকৃতি তুলে ধরেছে নিজেদের মাধ্যমে।
এএইচ
আরও পড়ুন