ঢাকা, শুক্রবার   ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪

বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ড নিয়ে কাহিনিচিত্র ‘কবি ও কবিতা’

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২৩:৩২, ৯ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ১০:০২, ১০ ডিসেম্বর ২০১৭

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড নিয়ে ‘কবি ও কবিতা’ শীর্ষক একটি কাহিনিচিত্র নির্মিত হয়েছে। সহিদ রাহমানের মহামানবের দেশেগল্প অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেছেন রোকেয়া প্রাচী। শনিবার বিকেল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে এ বিষয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, নির্মাতা নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, ডাকসুর সাবেক সাংস্কৃতিক সম্পাদক ম. হামিদ, চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম প্রমুখ।

‘কবি ও কবিতা’ কাহিনিচিত্রটির চিত্রনাট্য লিখেছেন পান্থ শাহ্‌রিয়ার। এতে অভিনয় করেছেন আহমেদ রুবেল, এসএম মহসিন, লুসি তৃপ্তি গোমেজ ও একে আজাদ সেতু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোজাম্মেল হক এমপি বলেন, ‘চলচ্চিত্রের ক্ষমতা এত বেশি, যা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এর চিত্রনাট্যে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে যেভাবে দেখানো হয়েছে, তাতে এই প্রজন্ম একটি সুস্পষ্ট ধারণা পাবে।’

রোকেয়া প্রাচী বলেন, ‘সৃজনশীল এই কহিনিচিত্রের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের চেষ্টা করেছি। আমরা নাটকে, চলচ্চিত্রে যত বেশি বঙ্গবন্ধু ও স্বাধীনতাকে আনতে পারবো, ঠিক তত বেশি তার রক্তের ঋণ শোধ করা যাবে।’

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বলেন, ‘ছবিটি এই প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে যুক্ত করবে। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীন দেশ দিয়ে গেছেন। কিন্তু যারা বঙ্গবন্ধুকে দেখেনি, তাদের কাছে স্বাধীনতার এই মহানায়ককে বিকৃতি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে বেশি করে জানতে হলে, এই প্রজন্মকে ইতিহাসের কেন্দ্রবিন্দুতে নিয়ে যেতে হবে।’

ড. আনিসুজ্জামান বলেন, ‘এই কাহিনিচিত্রের মাধ্যমে ১৫ অগস্টের কালো রাত সম্পর্কে সবাই সুস্পষ্ট ধারণা পাবে। তবে চিত্রনাট্য কিংবা সংকলন নির্মাণে ইতিহাসের তথ্যগত বিষয় সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে। ঐতিহাসিক এই কাজগুলো করতে গেলে সতর্ক হয়ে কাজ করাই ভালো।’

ম. হামিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন তাৎপর্যপূর্ণ, যা বিশদ আলোচনার দাবি রাখে। তার অকাল মৃত্যু বাংলাদেশের ইতিহাস বদলে দিয়েছে। ’৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ একটি ক্রান্তিকালের মধ্য দিয়ে গেছে। এ কারণে একটি প্রজন্ম ভুল রাজনৈতিক পথে পা বাড়িয়েছিল। ইতিহাস বিকৃতি করে তারা ক্ষান্ত হয়নি। নেতার আদর্শকে তারা মুছে ফেলতে চেয়েছিল। তবে দেশ এখন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ফিরে এসেছে। এই চেতনাকে উপলব্ধি করেই একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর রক্তের ঋণ শোধ করা সম্ভব।’

বক্তারা বলেন, বঙ্গবন্ধু বাঙালি জাতিসত্ত্বার বীজ মননে বপন করেছিলেন বহু আগেই। হাজার বছরের ইতিহাসের মধ্যে বঙ্গবন্ধু প্রথম কোনো নেতা, যিনি একটি ঘুমন্ত জাতিকে অধিকার আদায়ের প্রশ্নে জাগ্রত করেছিলেন। যার কারণে তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে স্বাধীনতার স্বপ্নকে অঙ্কুরোদগম করতে পেরেছিলেন।

 

কেআই/ডিডি/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি