বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী আজ
প্রকাশিত : ১১:৩৯, ৮ আগস্ট ২০১৬ | আপডেট: ১১:৩৯, ৮ আগস্ট ২০১৬
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৮৬তম জন্মবার্ষিকী আজ। রাজনীতিতে এক প্রেরণাদায়িনী মহীয়সী নারী তিনি। ব্যক্তিগত চাওয়া-পাওয়াকে তুচ্ছ করে সাহস জুগিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকে, তার অবর্তমানে নিয়েছেন নেতা-কর্মীদের খোঁজখবর। পর্দার অন্তরালে থেকেই ভূমিকা রেখেছেন বাঙালির স্বাধীকার থেকে শুরু করে স্বাধীনতার আন্দোলনে। আর এভাবে ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হয়ে উঠেন দেশের ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।<ংঃৎড়হম>
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৩০ সালের ৮ আগস্ট জন্মগ্রহণ করেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা। অল্প বয়সেই হারান বাবা-মাকে। পরিবারিক সিদ্ধান্তে বিয়ে হয় চাচাতো ভাই শেখ মুজিবুর রহমানের সঙ্গে। সেই থেকে একসাথে পথচলা।
ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠেন শেখ মুজিবুর রহমান। আর তাকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে থাকেন স্ত্রী ফজিলাতুন্নেছা। ১৯৪৭ সালে ভারত-পাকিস্তান ভাগের পর, ক্রমেই স্বাধীন বাংলাদেশের দাবিতে সোচ্চার হতে থাকেন শেখ মুজিবুর রহমান। বাড়ে রাজনৈতিক ব্যস্ততা। স্বামী যখন বাঙালীর মুক্তির মহামন্ত্রে, দীক্ষা নিয়ে রাজপথে, তখন অন্য সব দায়িত্ব নিঃশঙ্ক চিত্তে কাঁধে তুলে নেন বেগম মুজিব।
রাজনৈতিক মামলায়, কারাগারই হয়ে উঠছিলো বঙ্গবন্ধুর ঠিকানা, সেসময় বেগম মুজিব দক্ষ হাতে মামলা পরিচালনা করেন, সংগঠিত রাখেন দলকে। বঙ্গবন্ধুর অনেক গোপন নির্দেশ পৌঁছে দিতেন নেতাদের কাছে। নিয়মিত খোঁজখবর নিতেন কারাবন্দী নেতা-কর্মীদের পরিবারেরও। তার সেসব গুণাবলীর কথা স্মরণ করে আবেগাপ্লুত হন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতারা।
মুক্তিযুদ্ধের পুরো নয় মাস অসীম সাহস, দৃঢ় মনোবল ও ধৈর্য্য নিয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব পরিস্থিতি মোকাবেলা করেন। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত দেশ গড়ার কাজেও পাশে থাকেন বঙ্গবন্ধুর।
ক্ষমতার কেন্দ্রবিন্দুতে থেকেও, যিনি ছিলেন নির্মোহ, নিভৃতচারী; ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তাকেও হত্যা করে ঘাতকেরা। থেমে যায় বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের সংগ্রামী জীবন, ঠাঁই নেন ইতিহাসের পাতায়।
আরও পড়ুন