বদহজম দূরীকরণে কদবেল
প্রকাশিত : ১১:১৬, ২৩ জানুয়ারি ২০১৮
কদবেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে খনিজ ও আমিষ। কদবেল খেতে কিছুটা টক স্বাদের। তাই মেয়েদের পছন্দের খাবারের তালিকায় রয়েছে কদবেল। কদবেল ওষুধী কাজে ব্যবহৃত ছাড়াও এই ফল দিয়ে ভর্তা বা আচার করেও খাওয়া যায়।
কদবেলে ওষুধী ব্যবহার রয়েছে অনেক। ড. তপন কুমার দে তার ‘বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় গাছ-গাছড়া’ বইয়ে তুলে ধরেছেন কদবেলের ওষুধী গুণাবলী। একুশে টেলিভিশন অনলাইনে তা তুলে ধরা হলো-
১) কদবেলের কচি পাতার রস এক চামচ করে রোজ সকাল-বিকেল খেলে পিত্তরোগ দ্রুত সেরে যায়।
২) ফলের শাঁস কাশি, হাঁপানি ও যক্ষ্মা রোগ সারে।
৩) মূত্রবর্ধক, বলকারক ও যৌনশক্তিবর্ধকে কদবেলের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।
৪) ডায়বেটিসের প্রধান ওষুধ হচ্ছে কদবেলের নির্যাস।
৫) বিষাক্ত পোকামাকড় কামড়ের স্থানে এই ফলের শাঁস ও খোসার গুড়ার প্রলেপ দিলে ভালো হয়।
৬) ছোট এলাস ও মধু দিয়ে কাঁচা কদবেল খেলে বদহজম দূর হয়।
পরিচিতি : কদবেল গাছ ১২-১৫ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। এটি বেশ শক্ত ধরনের পত্রঝরা বৃক্ষ। এর পাতা দেখতে অনেকটা কামিনী ফুলের মত। পত্রদণ্ডের দুইদিকে পাঁচ-সাতটি করে পাতা থাকে। কদবেল গাছে ছোট, সোজা ও শক্ত কাঁটা থাকে। কদবেলের ফুলের পাঁচ থেকে ছয়টি লোমযুক্ত পাঁপড়ি থাকে। কদবেল ফলটি ক্রিকেট বলের চেয়ে বড় হয় এবং এর ব্যাস ৬২৫ সে.মি.। উপরিভাগ সাদা, ফল পাকলে কালচে বর্ণের হয়।
/কেএনইউ/এসএইচ