ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

বনশ্রীর বাড়ি থেকে গৃহকর্ত্রী গ্রেপ্তার

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৭:১৪, ৫ আগস্ট ২০১৭ | আপডেট: ১৫:৪৩, ৮ আগস্ট ২০১৭

রাজধানীর বনশ্রী এলাকায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের (২৫) রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় গৃহকর্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে হত্যা মামলায় গৃহকর্ত্রী সাহানা বেগমকে তার বাড়ি থেকে আটক করা হয়। এর আগে একই ঘটনায় শুক্রবার গৃহকর্তা মইনুদ্দিন ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জ্বল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রামপুরা থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মতিঝিল জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) শিবলী নোমান বেলা একটার দিকে রামপুরা থানায় সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মী লাইলী বেগমের ভাশুর শহীদুল ইসলাম গৃহকর্তা, গৃহকর্ত্রী ও বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক তোফাজ্জলকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। স্থানীয়দের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় কর্তব্যকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে মামলা করেছে পুলিশ। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে। শিবলী নোমান আরও জানান, তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি ঘটনাটি আত্মহত্যা।

খিলগাঁও থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা মো. মনসুর আহমেদ জানান, গতকাল শুক্রবার রাত ১১টার দিকে মামলা দুটি করা হয়।

লাইলীর জা শাহনাজ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন, লাইলীকে হত্যা করা হয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন বলছেন, লাইলী বাসায় কাজ করতে আসার পর বাড়ির একটি ঘরে ঢুকে দরজা ভেতর থেকে বন্ধ করে দেন। পরে দরজার ছিটকিনি ভেঙে ঘরের ভেতরে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় লাইলীকে পাওয়া যায়।

লাইলী বনশ্রীর পাশে হিন্দুপাড়া বস্তিতে থাকতেন। তাঁর ছোট দুই সন্তান রয়েছে। গৃহকর্তা মইনুদ্দিন গতকাল জানান, লাইলীর স্বামী নজরুল ইসলাম ভারতের কারাগারে বন্দী।

শুক্রবার বনশ্রীর ৪ নম্বর সড়কে জি ব্লকের একটি বাসায় গৃহকর্মী লাইলী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যুকে কেন্দ্র করে এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। লাইলীকে হত্যার অভিযোগ এনে তাঁর পরিবার ও এলাকার বিক্ষুব্ধ লোকজন ওই বাড়িতে হামলা চালায় এবং সড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। দফায় দফায় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় লোকজনের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া চলে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ কয়েক দফা ফাঁকা গুলি ছোড়ে। রাত ১০টার দিকে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।

আরকে/ডব্লিউএন


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি