ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বন্ধ হচ্ছে না নদী দখল

সাইদুল ইসলাম

প্রকাশিত : ১২:১৩, ২৯ অক্টোবর ২০২১

ঢাকার চারপাশের নদীগুলোর দখল কোনোভাবেই বন্ধ করা যাচ্ছে না। সবচেয়ে বেশি দখলের কবলে বুড়িগঙ্গা ও তুরাগ। দখলদারদের তালিকায় বেসরকারি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামও আছে। দখলমুক্ত করতে অভিযান চালানো হলেও কিছুদিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে যায় নদীগুলো। 

চারশ’ বছরের পুরানো এ শহরের চারপাশটা নদীবেষ্টিত। তবে দখল-দূষণে নদীগুলো যৌবন হারিয়েছে অনেক আগেই। বিশেষ করে আদি বুড়িগঙ্গা এখন খুঁজে পাওয়াই কঠিন। নদী পাড়ে ময়লা আর্বজনা এমনকি কনক্রিট ফেলে দখলের শুরু।

দখল তালিকার সবার উপরে আছে সিমেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো। মিরপুর বেড়ী বাঁধ এলাকার সিমেন্ট ফ্যাক্টরিগুলো গিলে খেয়েছে নদীর জায়গা। শুধু সিমেন্ট ফ্যাক্টরিই নয়, বেসরাকারি আরও অনেক প্রতিষ্ঠান নদীর জায়গা দখল করেছে। দখল করছে সরকারি প্রতিষ্ঠানও।

বুড়িগঙ্গার পারে পাওয়ার প্লান্ট গড়ে ওঠার বছরখানেক আগে কিছু অংশ উচ্ছেদ করা হয়েছিলো। সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে দখল করা হলেও কয়েক মাসের মধ্যে আবার আগের অবস্থা। 

স্থানীয়রা জানান, সবার সামনেই চলছে দখল উৎসব।

তারা জানান, এই জায়গায় বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছি। সবই ছিল কিন্তু এখন এটি যে খাল তা বোঝাই যায় না। ভরাট করে বাড়ি-ঘর বানাচ্ছে, দোকান বানাচ্ছে, স্ট্যান্ড বানানো হচ্ছে। 

তবে দক্ষিণ সিটির মেয়র জানালেন, বুড়িগঙ্গা বাঁচাতে হাতে নেয়া হয়েছে মহাপরিকল্পনা।

মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আদি বুড়িগঙ্গাকে পুনঃউদ্ধার করা হবে। তার সাথে সাথে পুরো বুড়িঙ্গার পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধের যে সড়ক আছে এটাকে ছয় সারিতে উন্নীত করবো।

নদী উদ্ধারে সব ব্যবস্থাই নেয়া হবে বলে জানান মেয়র। 

মেয়র জানান, অবৈধ দখলের যে মহোৎসব চলছে এটা বন্ধ করা হবে। উচ্ছেদ করার পরে সেটা আবার দখল হয়ে যাচ্ছে। এজন্য আমরা দীর্ঘ মেয়াদী মহাপরিকল্পনা করছি।

পরিকল্পিতভাবে নদীগুলো দখল ও দূষণমুক্ত করা গেলে উন্নত ঢাকা গড়ার কাজটি এক ধাপ এগিয়ে যাবে। 

ভিডিও-

এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি