বন্ধ হয়নি ঝুঁকি নিয়ে বুড়িগঙ্গা পারাপার (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:০৬, ২৭ এপ্রিল ২০২২
সদরঘাট, কেরানীগঞ্জসহ বুড়িগঙ্গার বিভিন্ন পয়েন্টে নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রতিবছরই নৌ দুর্ঘটনায় বহু মানুষ প্রাণ হারাচ্ছেন। খেয়া নৌকার বিকল্প হিসেবে ওয়াটারবাস চালু করা হলেও প্রয়োজনের তুলনায় তা খুবই কম। ফলে বন্ধ হয়নি ঝুঁকি নিয়ে বুড়িগঙ্গা পারাপার।
ঢাকার কেরানীগঞ্জ, সদরঘাটসহ আশেপাশের এলাকায় বালুবাহী বাল্কহেড, ট্রলার বা বড় লঞ্চের ধাক্কায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। এতে প্রতিবছর প্রাণ হারাচ্ছেন নারী-পুরুষ শিশুসহ বহু মানুষ।
দুই পাড়ে ব্যস্ততম এলাকা। প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষের পারাপার। ছোট ছোট খেয়া নৌকাগুলো ধারণ ক্ষমতার বেশি যাত্রী নিয়ে চলে ইচ্ছে মতো।
স্থানীয়রা জানান, “এখানে একটা জায়গা আছে যে দুটি পাইলিংয়ের ভেতর দিয়ে যেতে হয়। এটিই মূলত দুর্ঘটনার কারণ।”
এক যাত্রী জানান, “এটা পারাপার হতে অনেক সমস্যা। এতো লোক, তাদের ওঠানামার জন্য ঘাটের কোন ব্যবস্থা নেই।”
দুর্ঘটনা এড়াতে বুড়িগাঙ্গার তলদেশে টানেল কিংবা ওপর দিয়ে ক্যাবল কার স্থাপনের কথা ভাবা হয়েছিল। পরে চালু করা হয় মাত্র ৫টি ওয়াটার বাস।
তবে, সর্বত্র ওয়াটার বাস চালু হলে আয় কমে যাওয়ার শঙ্কায় খেয়া পাড়ের মাঝিরা। দুর্ঘটনার জন্য বাল্কহেড এবং বেপরোয়া লঞ্চ চলাচলই দায়ী বলে মনে করেন তারা।
এদিকে, পাঁচটি ওয়াটার বাস কেরানীগঞ্জ থেকে নাগরমহল, সদরঘাট, ওয়াইজঘাট, শ্যামবাজার এবং আশুলিয়া এলাকায় চলাচল করলেও এখন এ সংখ্যা নেমে এসেছে তিনটিতে। নতুন করে ফেরি চালুর কথা ভাবা হচ্ছে।
এসব বিষয়ে বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান বলেন, নৌপথ নিরাপদ করতে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, “নৌকার ঘাটগুলোকে আধুনিকায়ন করা এবং ব্যক্তি উদ্যোগে কেউ যদি ভাল মানের নৌযান নিয়ে এগিয়ে আসেন তাদেরকে আমরা উৎসাহিত করবো। নৌযানগুলোতে যারা চালক হবেন তাদেরকে আমরা প্রশিক্ষিত করার চেষ্টা করছি।
তবে, শুধু আশ্বাসে নয় বাস্তবে নৌপথ নিরাপদ হবে এবং দুর্ঘটনা কমবে এমনটা প্রত্যাশা করেন সবাই।
এএইচ/