বন্ধুর ছোঁড়া পেট্রোলে ঝলসে গেলো আরেক বন্ধু
প্রকাশিত : ১৫:৫৫, ২ জুলাই ২০২৪
ঠাকুরগাঁওয়ে পেট্রোল ঢেলে বন্ধুকে পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আরেক বন্ধুর বিরুদ্ধে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের বিছানায় শুয়ে যন্ত্রণায় কাতরাতে দেখা যায় অগ্নিদগ্ধ সুবল রায় (২১)কে। সুবল সদর উপজেলার ভূল্লীথানাধীন আরাজি মাটিগাড়া গ্রামের বোদিব রায়ের ছেলে।
যন্ত্রণায় কাতর সুবল জানান, সোমবার সারাদিন ঘোরাফেরার পর রাত ১২টার দিকে স্থানীয় চেয়ারম্যান বাজার নামে একটি বাজারে গিয়েছিলাম। সেখানে সজিব নামে এক বন্ধুর মোবাইল সার্ভিসিংয়ের দোকান। সজিব তার কম্পিউটারে একটি সিনেমা চালু করে। এ সময় দোকানে বসে সিনেমা দেখতেছিলাম। এক পর্যায়ে সজিব পেছন দিক থেকে আমার গায়ে পেট্রোল ঢেলে দেয়।
প্রথমে ভেবেছি সে মজারছলে কাজটি করেছে। পরে ফ্রেস হয়ে যাব। কিন্তু আর কিছু বুঝে উঠার আগেই সে দিয়াশলাইয়ের ম্যাচের কাঠি দিয়ে শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।
সুবলের আরেক বন্ধু সুমন রায় জানান, রাতে সুবলের চিৎকার শুনে সে বাড়ি থেকে দৌড়ে এসে দেখে সুবল দ্বগ্ধ। পরে সজিব নিজে তাকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে এনে ভর্তি করে।
সুবলের মা জোসোদা রাণী বলেন, সুবল রাজমিস্ত্রির কাজ করেতো। ওই আয়ে তাদের সংসার কোন রকম চলতো। সোমবার এক বন্ধু তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায়। পরে রাতে শুনি সুবলকে সজিব নামে এক ছেলে গায়ে পেট্রোল দিয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে।
ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের সার্জারী বিশেষজ্ঞ ডা. শিহাব মাহমুদ শাহরিয়ার জানান, সুবল রায় দগ্ধ হয়ে এখন সংকটাপন্ন অবস্থায় আছে। তার পুরো মুখ পুড়ে গেছে। তার শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ।
তবে তার মুখের সঙ্গে শ্বাসের সম্পর্ক রয়েছে একই সঙ্গে দগ্ধতার কারণে তার চোখ বন্ধ হচ্ছে না এসব জটিলতার কারণে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিট রেফার্ড করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ভূল্লী থানার (ওসি) মো: দুলাল উদ্দিন বলেন, সোমবার রাতে সজিবের মোবাইল সার্ভিসিং দোকানে সুবলসহ আরও একবন্ধু সিনেমা দেখছিল। এক পর্যায়ে মজার ছলে সজিব সুবলের গায়ে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ
আরও পড়ুন