ঢাকা, মঙ্গলবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৪

বন্যা কেড়ে নিয়েছে খাগড়াছড়ির ঈদ আনন্দ

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫২, ১৫ জুন ২০১৮

চার দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দুর্ভোগ। এখনও স্বাভাবিক হয়নি খাগড়াছড়ির বন্যা পরিস্থিতি। বৃষ্টি থামলেও আকাশে কালো মেঘ জমে থাকায় শঙ্কা কাটেনি পাহাড়ের মানুষের। এখনও পানির নিচে তলিয়ে আছে খাগড়াছড়ি, দীঘিনালা ও মহালছড়ির নিমাঞ্চল। সর্বত্রই ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে বন্যার ক্ষত চিহ্ন।

খাগড়াছড়ির স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা আর পাহাড়ি ঢলে মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর পরিণত হয়েছে বেদনার উৎসবে। সর্বত্রই ভয়াবহ বন্যার বিধ্বস্থ ছাপ। বন্যায় হারিয়েছে ঘর-বাড়ি, নষ্ট হয়েছে জমির ফসল। দুর্গত এলাকাগুলোতে শুধুই হাহাকার। বন্যা দুর্গত এলাকাগুলোতে নেই উৎসবের আমেজ। সকলের মাঝে হারানোর ছাপ।

মেরুংয়ের অধিকাংশ গ্রাম এখনও প্লাবিত আছে জানিয়ে মেরুং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রহমান কবির রতন বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় দীঘিনালায় ঈদ আনন্দকে ম্লান করে দিয়েছে। কোথাও উৎসবের আমেজ নেই। পানিবন্দি আছে সাত হাজারেরও বেশি মানষ। বন্যার পানি নামতে আরও ৩ থেকে ৪ দিন সময় লাগবে।

খাগড়াছড়ি সদরের শান্তিনগর, বাঙ্গালকাঠি, চেঙ্গীব্রিজ এলাকা, সবুজবাগ, গঞ্জপাড়া, মুসলিমপাড়া ও শব্দ মিয়া পাড়া ঘুরে দেখা যায় সর্বত্রই বন্যা কবলিত মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই। রাত পোহালেই ঈদ-উল-ফিতর তা জানলেও ঈদের কোনো অনুভূতি নেই এসব দুর্গত মানুষগুলোর মধ্যে।

খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. শাহ আলম বলেন, অতীতে এতো বড় বন্যার মুখোমুখি হয়নি খাগড়াছড়ির মানুষ। মাত্র একদিন পরে মুসলমানদের সর্বোচ্চ ধর্মীয় উৎসব ঈদ-উল-ফিতর হলেও এখনও সৃষ্ট বন্যার ক্ষত শুকায়নি। এখনও তার ওয়ার্ডের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি রয়েছে বলেও জানান তিনি। তার মতে ধনী-গরিব সবাইকে নিঃস্ব করে দিয়েছে সাম্প্রতিক বন্যা। বন্যার কারণে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পাহাড়ের মানুষ।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি