বন্যা ভাঙনে দিশেহারা নদী পাড়ের মানুষ [ভিডিও]
প্রকাশিত : ১২:৩৬, ১০ জুলাই ২০১৮
গাইবান্ধা, জামালপুর ও সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নদ-নদীর পানি নতুন করে না বাড়লেও দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। চরম আতংকে দিন পার করছে বানভাসী মানুষ।
তিস্তা, যমুনা ও ব্রক্ষ্মপুত্রের পানি নতুন করে না বাড়লেও গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সদরসহ চরাঞ্চল এখনো পানিবন্দী।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ঘাঘট নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদরের কুঠিপাড়া, সরদার পাড়াসহ অনেক নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
জামালপুরের যমুনার পানি বিপদসীমার ১ সেন্টিমিটার নীচ দিয়ে বইছে। জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে ঢুকছে বানের পানি। ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া, চিনাডুলি ও বেলগাছা ইউনিয়নে যমুনার তীব্র ভাঙ্গনে প্রায় ৫ শতাধিক বাড়ি বিলীন হয়েছে। আতঙ্কে দিন পার করছে যমুনা পাড়ের মানুষ।
সিরাজগঞ্জে যমুনার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপদসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে বইছে।
তবে পানি কমলেও কমেনি দুর্ভোগ। জেলার পুর্ব শাহজাদপুরের ভেকা, ঘাটাবাড়ি, আড়কান্দি পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার জুড়ে চলছে ভাঙ্গন। শতাধিক ঘর-বাড়ি এবং আবাদী জমি বিলীন হয়েছে নদী গর্ভে।
সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি কমলেও তীব্র স্রোতে উপজেলা সদরে নদী ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। প্রতিনিয়ত নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে বাড়ি-ঘর ও ফসলি জমি। জিও-টেক্সটাইল ব্যাগে বালু ভরে ভাঙন ঠেকানোর চেষ্টা করছে স্থানীয় প্রশাসন।
এদিকে দূর্গত এলাকাগুলোতে জেলা প্রসাশন ও বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত রয়েছে।
আরও পড়ুন