বন্যার আশংকা, তলিয়ে যেতে পারে হাওর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:২৪, ১১ এপ্রিল ২০২২
চলতি সপ্তাহের শেষে আবারও পাহাড়ি ঢলে বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে এতে সিলেট, সুনামগঞ্জ, নেত্রকোনা ও কিশোরগঞ্জের বেশিরভাগ হাওড় এলাকা তলিয়ে যেতে পারে। ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে ধান কেটে ফেলাসহ আগাম প্রস্তুতির পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশের উত্তর-পূর্বাংশে সাড়ে ৩শ’ মত হাওর রয়েছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এলাকা রয়েছে বাঁধের আওতায়। তবুও গেলো সপ্তাহের পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে গেছে সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনার বেশ কিছু হাওর এলাকা।
বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র বলছে, নতুন দেয়া বাঁধ পাহাড়ি ঢলের তোড় সহ্য করতে পারেনি। তাই অনেক স্থানে ভেঙ্গে পানি ঢুকেছে। এছাড়া কিছু এলাকায় বাঁধ চুইয়েও পানি প্রবেশ করেছে।
চলতি সপ্তাহে ভারতের মেঘালয়, চেরাপুঞ্জি, আসামে বৃষ্টিপাতের ফলে আবারও পাহাড়ি ঢলে আকস্মিক বন্যার আশংকা দেখা দিয়েছে। দ্বিতীয় ধাপের এ বন্যায় বেশি ক্ষতির আশংকা করছে বন্যা সতর্কীকরণ কেন্দ্র।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, “উজান ও অভ্যন্তরীণ দুইয়ের মিলিত প্রভাবে আশঙ্কা করছি চলতি সপ্তাহের শেষ নাগাদ হাওরের নদীগুলোতে পানি বিপদসীমার কাছাকাছি চলে আসবে এবং বিপদসীমা অতিক্রমের সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।”
এতে বিপুল পরিমাণ ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে। এর আগেই ধান না কাটলে চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বে বলেও জানায় পূর্বাভাস কেন্দ্র।
মোঃ আরিফুজ্জামান ভূইঁয়া বলেন, “যে ধানগুলো এখন কাটা হচ্ছে বা যেগুলো ৮০ শতাংশ পেকেছে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সেগুলো ৫-৭ দিনের মধ্যে কেটে ফেলার উদ্যোগ নেয়া যেতে পারে।”
এ বছর বৃহত্তর সিলেট বাদে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে বহ্মপুত্র, যমুনা ও তিস্তা নদীতে। এতে দেশের উত্তরাঞ্চলসহ মধ্যাঞ্চলেও আগাম বন্যার আশংকা রয়েছে।
নির্বাহী প্রকৌশলী আরও বলেন, “এবার হাওরের বন্যার সাথে সাথে উজানের ব্রহ্মপুত্র-যমুনাতেও পানি বাড়ছে। তিস্তাতেও পানি বেড়েছে, সাধারণত এটা হয় না।”
উপকূল ও নদী তীর মিলে দেশে ১৬ হাজার কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে। এরমধ্যে সাতক্ষীরা ও খুলনা এলকায় উপকূলীয় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের সংস্কার কাজ চলছে।
এএইচ/