বন্যায় বিদ্যুৎহীন সোয়া ৯ লাখ গ্রাহক
প্রকাশিত : ১৯:২১, ২৪ আগস্ট ২০২৪
চলমান বন্যার দেশের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের ৯ জেলার মোট ৯ লাখ ২৮ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন অবস্থায় রয়েছেন বলে জানিয়েছে সরকার। আজ শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চলমান বন্যায় ফেনীর মোট ১৭টি সাবস্টেশনের সবগুলোই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ফলে সেখানকার ৪ লাখ ৪১ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছেন। অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্ত জেলার মধ্যে রয়েছে চাঁদপুর, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া। এই জেলাগুলোতে কোনো সাবস্টেশন বন্ধ করা হলেও, ৯০৫টি ফিডারের (ডিস্ট্রিবিউশন লাইন, যা সাবস্টেশন থেকে গ্রাহকদের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে) মধ্যে ১০৭টি অফলাইনে নেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, নোয়াখালীতে ২ লাখ ১৮ হাজার, কুমিল্লায় ১ লাখ ৫২ হাজার, চট্টগ্রামে ৭৮ হাজার এবং লক্ষ্মীপুরে ১৫ হাজার গ্রাহক বর্তমানে বিদ্যুৎবিহীন।
দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, খাগড়াছড়ি, লক্ষ্মীপুর এবং উত্তর–পূর্বাঞ্চলের মৌলভীবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জসহ ১১ জেলা এখন বন্যা আক্রান্ত। টানা প্রবল বর্ষণ এবং উজান থেকে নেমে আসা ঢলেই এ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।
তবে গত ২৪ ঘণ্টায় উপদ্রুত অঞ্চলগুলোতে বৃষ্টি কমে এসেছে। আজ সকালে আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে জানা যায়, সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ৬ মিলিমিটার, রাঙামাটিতে ২ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে এ সময় কোনো বৃষ্টি হয়নি। তবে আগের ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১৫১ মিলিমিটার, চট্টগ্রামে ১৪৩ মিলিমিটার এবং রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়।
আজ সকালের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে। এ সময় সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
বন্যা উপদ্রুত অঞ্চলগুলোর মধ্যে ফেনীর বৃষ্টি নিয়ে কোনো তথ্য আবহাওয়া অধিদপ্তর দেয়নি। এর কারণ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, ফেনী শহরের থাকা বৃষ্টি মাপার যন্ত্র এখনো পানির নিচে ডুবে আছে। তাই তথ্য পাওয়া যায়নি।
কেআই//
আরও পড়ুন