ঢাকা, সোমবার   ১৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বরগুনার আমতলীতে মাজারে হামলা-আগুন, আহত ২০

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০১, ১৭ মার্চ ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বরগুনার আমতলীতে ইসমাইল শাহ মাজারে বাৎসরিক ওরস চলাকালে হামলা ও আগুন দেওয়া হয়েছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রবিবার (১৬ মার্চ) রাত সোয়া ১২টার দিকে আমতলী পৌর শহরের বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

জানা যায়, আমতলী পৌর শহরের বটতলায় ১৯৯৬ সালে ইসমাইল শাহ মাজার স্থাপন হয়। ওই সময় থেকে মাজার কর্তৃপক্ষ দুইদিন ব্যাপী ওরস উৎযাপন করে আসছে এবং রোববার সন্ধ্যায় ২৮ তম ওরস শুরু হয়। ওইদিন রাতে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ আমতলীর সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও সাধারণ সম্পাদক গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক এসে ওরস বন্ধ করতে বলেন। কিন্তু মাজার খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ওরস বন্ধে অপরগতা প্রকাশ করেন। 

এ নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হলে একপর্যায়ে ইসলামী আন্দোলনের সমর্থকরা লাঠি সোটা নিয়ে মাজার ভাঙচুরসহ আগুন দেয়। এতে ওরসে আসা মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এবং এদিক ওদিক ছুটাছুটি করতে থাকেন। 

খবর পেয়ে আমতলীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। অপর দিকে ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।

ইসমাইল শাহ মাজারের খাদেম অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল বলেন, 'মাওলানা ওমর ফারুক জেহাদী ও গাজী বায়েজিদের নেতৃত্বে তাদের শতাধিক সমর্থক লাঠি সোঠা নিয়ে মাজারে অতর্কিত ভাবে হামলা ও আগুন দেয়াসহ ভক্তবৃন্দকে মারধর ও মাজারের বাক্সে থাকা টাকা পয়সা লুটপাট করেছে। এ ঘটনায় মাজারে আসা ২০ ভক্ত আহত হয়েছেন এবং মাজারের গিলাব ও দুটি বৈঠকখানা পুড়ে গেছে। আহতদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। গুরুতর আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। আমি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির দাবি করছি।'

আমতলী ইসলামী আন্দোলনের সভাপতি মাওলানা ওমর ফারুক বলেন, 'বেশ কিছু সমর্থকসহ আমি ও আমাদের সাধারণ সম্পাদক গিয়ে মাজারে খাদেমকে পবিত্র রমজান মাসে মাজার পুজা ও গানবাজনা করতে নিষেধ করি। কিন্তু তিনি তা মানতে নারাজ হন এবং একপর্যায়ে তার ভক্তবৃন্দ ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের গায়ে হাত তুললে উপস্থিত জনতা ক্ষিপ্ত হয়ে মাজার ভাঙচুর ও আগুন দিয়েছে।'

আমতলী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক রাসেদ মাহমুদ বলেন, 'আহতদের যথাযথ চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।' 

আমতলী ফায়ার সার্ভিস ষ্টেশনের ওয়ার হাউস ইন্সপেক্টর মোহাম্মদ হানিফ বলেন, 'প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হলেও আগুনে মাজারের ভেতরের সামিয়ানা ও দুইটি ঘর পুড়ে গেছে।' 

আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল ইসলাম বলেন, 'খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এ বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, 'ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'

এসএস//


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি