ঢাকা, রবিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বরেন্দ্র পুরাকীর্তির অনন্য নিদর্শন দিনাজপুরের রামসাগর

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ০৯:৩০, ৩ জুন ২০১৭ | আপডেট: ১৪:২৪, ৩ জুন ২০১৭

Ekushey Television Ltd.

বরেন্দ্র পুরাকীর্তির অনন্য নিদর্শন রাজা প্রাণনাথের মনোলোভা কীর্তি দিনাজপুরের রামসাগর। সাগরসম জলরাশিতে ভরপুর দীঘি-দর্শনে প্রকৃতিপ্রেমীরা বারবার ছুটে আসেন এখানে। ইতিহাস বলে, রাজা প্রাণনাথের রাজত্বকালে এ অঞ্চলে খরা দেখা দেয়। আর খরায় সৃষ্ট দুর্ভিক্ষে অনেক মানুষ মারা যান। প্রজাবান্ধব রাজা তখন জলকষ্ট কমাতে ১৫ হাজার লোক নিয়োগ করে দীঘি খননের কাজ শুরু করেন। যা শেষ হয় ১৭৫৫ খ্রিস্টাব্দে। 
লোকশ্রতি আছে, পাঁচ বছর ধরে দীঘি খনন শেষে দেখা যায় দীঘিতে এক ফোঁটাও জল উঠেনি। চিন্তিত হয়ে পড়েন রাজা প্রাণনাথ। স্বপ্নে দৈববাণী পেলেন, রাজপুত্র রামনাথ দিঘীতে প্রাণ বিসর্জন দিলে জল উঠবে। স্বপ্নাদেশ পেয়ে, রামনাথ দীঘির দিকে রওনা হন। দীঘির তলপৃষ্ঠে নির্মিত মন্দিরের দিকে এগুতে থাকেন। সিঁড়ির শেষ ধাপে নামতেই জলে দীঘি পরিপূর্ন হয়ে। সলিল সমাধি হল রাজপুত্র রামনাথের। সেই থেকে দীঘির নাম রামসাগর।

একেএম আব্দুস সালাম- কিউরেটর, রামসাগর জাতীয় উদ্যান ।
দীঘিটির দৈর্ঘ্য ৩৩৯৯ ফুট ও প্রস্থ ৯৯৮ ফুট। বাকি উঁচু-নিচু জমিতে রাজার হাতে রোপিত ৭৩ প্রজাতির বৃক্ষরাজি। খরচ হয়েছিল ৩০ হাজার টাকা। রাজার সে আম বাগান আজো দোলা দেয় প্রকৃতিপ্রেমীদের মনে।
দিনাজপুর শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দক্ষিণে রামসাগরের পরিচিতি দেশে-বিদেশ ছড়িয়ে থাকলেও উন্নয়ন-সংস্কার হয়নি এতটুকু। বরং অযতেœ-অবহেলায় রামসাগর আজ হারাতে বসেছে ঐতিহ্য-সৌন্দর্য্য।

 

 


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি