বর্ষায় সাবধানতা
প্রকাশিত : ০৩:৩১, ৬ মে ২০২০
বর্ষা আমাদের জন্য শুধু শীতল পরশই আনে না, সঙ্গে করে কিছু রোগ-বালাইও নিয়ে আসে, শরীর সুস্থ রাখার জন্য এখন আমাদেরকে সচেতন থাকতে হবে। বর্ষায় তাপমাত্রায় উঠানামার পরিমানটা বেড়ে যাওয়ায় কয়েক ধরনের জীবাণুরা সহজেই বংশবিস্তার করতে পরে। সংক্রামক ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস খুব সহজেই রোগ ছড়াতে পারে। তাই নানা রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যেতে পারে। বয়স্ক এবং বাচ্চারা সহজেই আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনায় থাকে, কিন্তু এই সময়ের অসুখ থেকে প্রতিকার পওয়া খুবই সহজ। অসুখ থেকে বাচার জন্য একটু সচেতনতাই যথেষ্ট। একটু যত্ন ও মনোযোগ দিতে হবে স্বাস্থ্য এবং খাদ্যাভাসে । তাহলেই কমে যেতে পারে রোগের প্রকোপ
বর্ষার যতো রোগ
ঠাণ্ডা লাগা সর্দি-কাশি, জ্বর, ডেঙ্গু জ্বর, খাদ্য বাহিত ইনফেকশান , ফুড পয়জনিং ,ডায়রিয়া ,কলেরা পানিবাহিত ইনফেকশান , জন্ডিস টাইফয়েড ,ম্যালেরিয়া ,চর্মরোগ, ল্যাপটোসপাইরোসিস সহ আরো কিছু রোগ দেখা দিতে পারে। সাবধানতাই আমাদেরকে এই সব রোগ হওয়া থেকে মুক্তি দিতে পারে, আক্রান্ত হয়ে গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া এবং মেনে চলা অতি জরুরি।
বর্ষায় সতর্কতা
বর্ষা শুরু হওয়ার আগেই , জুতা বা স্যান্ডেল, ব্যাগ ,ছাতা, রেইনকোট সহ বৃষ্টি দিনের আনুয়াঙ্গিক জিনিস পত্র কিনে রাখতে হবে,
আপনার শরীর সম্পর্কে আপনিই ভালো জানুন, যদি বৃষ্টিতে ভিজলে আপনি অসুস্থ হয়ে যান তবে বৃষ্টিতে ভিজবেন না। আর ঘন ঘন বৃষ্টিতে ভিজা কারোরই উচিৎ নয়। স্বইচ্ছায় কিংবা অনিচ্ছায় বৃষ্টিতে ভিজলে আবার গোসল করুন। সবোর্চ্চ মাত্রায় পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় চলুন। গরম পানি, গরম দুধ পান করুন, ফলমূল ও ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া বাড়িয়ে দিন। খুব সহজেই ভালো হয়ে যাওয়ার মতো সাধারণ অসুখকে সাধারণ ভাবে দেখবেন না, অসুস্থ হলে নির্দীষ্ট সময় পরে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিবেন। ঘড়ে যেন মশা না থাকে তা নিশ্চিত করতে হবে, প্রয়োজনে বাড়ির আশের পাশে মশার আবাসস্থল নষ্ট করতে হবে।
বর্ষাকালে সাধারণত শিশু ও বয়স্করাই বেশি খুব সহজে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যায় , তাদেরকে ঘড়ের মেঝেতে বসানো এবং শুয়ানো যাবে না। তারা যেন অসুস্থ না হয় এই ব্যাপারে সব সময় তাদের ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে।
...এস ইউ এ