ঢাকা, মঙ্গলবার   ২২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

বহু রোগের মহৌষধ ড্রাগন ফল

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:০২, ৪ আগস্ট ২০১৮

Ekushey Television Ltd.

ড্রাগন ফল আমাদের দেশে খুব একটা পরিচিত না হলেও এর পুষ্টিগুণ অনেক। তবে ধীরে ধীর এর পরিচিতি লাভ করছে। ড্রাগন ফলে রয়েছে ৮০ থেকে ৯০ গ্রাম পানি। এছাড়া প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, চর্বি, আঁশ, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ফসফরাস, নায়াসিন, ভিটামিন সি। এ কারণে ড্রাগন ফলকে সব রোগের মহাওষুধ বলা হয়।

ড্রাগন ফলে প্রচুর অ্যান্টি অক্সিডেন্ট আছে। যা রক্তে অণুচক্রিকা বা প্লেটলেটের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। ফলে ডেঙ্গুর চিকিৎসায় এই ফল খুবই কার্যকর। আমাদের অনেক রোগী সুফল পেয়েছেন। পেঁপে পাতার রসের সঙ্গে এটাও অনেকে খাচ্ছেন। তাছাড়া এই ফলে থাকা আয়রন রক্তে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। লোহিত রক্তকণিকা উৎপাদনে সহায়তা করে। তাই অ্যানিমিয়া রোগীদের জন্য ভাল। যদিও ডেঙ্গুর ওষুধ হিসাবেই বেশি বিজ্ঞাপিত হচ্ছে এই ফল।

পুষ্টিবিশারদরা জানিয়েছেন, এই ফলে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি, ভিটামিন বি১, বি২, বি৩ থাকে। ফলে রক্তচাপ ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। ফাইবারের পরিমাণ বেশি থাকায় ড্রাগন ফ্রুট খাদ্য পরিপাকে সহায়তা করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে। এই ফলে থাকা ক্যারোটিন, লাইকোপেন প্রস্টেট ক্যানসার হওয়ার সম্ভাবনা কমিয়ে দেয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়।

ড্রাগন ফলের বৈজ্ঞানিক নাম হাইলোসেরিয়াস আনডেটাস। পিতায়া নামেই অবশ্য বেশি পরিচিত এই ড্রাগন ফল। চিনারা এই ফলকে বলে ‘হুয়ো লং কুয়ো’, ভিয়েতনামে ‘থানা লে’ ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়াতে ‘বুয়া নাগা’। বিশেষজ্ঞরা জানালেন, ফণীমনসা গোত্রের এই গাছে ফুল ফোটে রাতে। দেখতে অনেকটা নাইট কুইন বা ব্রহ্মকমলের মতো। ফলটি দুই রঙের। লাল ও হলুদ। স্বাদও দু’ধরনের। টক ও মিষ্টি। সাধারণত শাঁস সাদা। ভিতরে কালো জিরের মতো অংশ।

সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন।

কেএনইউ/ এআর


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি