বাঁচতে চায় তানিয়া
প্রকাশিত : ১৭:২৯, ৫ মে ২০১৯
তানিয়া আক্তার মুন্নি (১৫)। দাখিল পরীক্ষার্থী। লেখাপড়া করে সুন্দর জীবনের পথে এগিয়ে যাওয়ার কথা অথচ সেই সময় দুই পায়ের জটিল রোগে আক্রান্ত হয়ে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে। ক্রেসের ওপর ভর দিয়ে চলতে ফিরতে হয় কিশোরী তানিয়ার। দুপায়ের অসহ্য ব্যথার ফলে তার লেখাপড়া বন্ধ রয়েছে। আর্থিকভাবে অসচ্ছলতার কারণে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছে না তানিয়া।
তানিয়ার বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কুতুব মুহুরির বাড়ি। তার পিতার নাম মোহাম্মদ মাকসুদ আলম। তিনি উপজেলার সন্তোষপুর আদর্শ দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
চিকিৎসকরা জানিয়েছে, তানিয়া দুপায়ে জটিল রোগে আক্রান্ত। তার পায়ে দ্রুত অপারেশন করাতে হবে। এজন্য তাকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় অথবা ভারতে নিয়ে যেতে হবে।
এ শিক্ষার্থীর পায়ের অবস্থা দিন দিন খারাপের দিকে যাচ্ছে। তার উন্নত চিকিৎসার জন্য অনেক টাকার প্রয়োজন।
বর্তমানে তানিয়া রাজধানীর কল্যাপুরের স্পেন অর্থোপেডিক জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। দুপায়ের পায়ের হাড় ক্ষয় ও কোমড়ের জয়েন্ট নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে চিকিৎসাধীন রয়েছে। প্রতিদিন ঔষধ বাবদ দশ হাজার টাকা খরচ হচ্ছে। দুই পায়ের যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারছে না।
মেয়েটির বাবা সমাজের বিত্তবানদের কাছে মেয়ের চিকিৎসার জন্য সাহায্যের আবেদন জানিয়েছে তানিয়ার বাবা।
এদিকে দু`পায়ের অসহ্য ব্যথার কারণে রাতের পর রাত আর কাটছে নির্ঘুম রাত স্কুল দাখিল শিক্ষার্থী এই মেয়ে
তানিয়ার পিতা মাকসুদ আলম জানিয়েছেন, আমার মেয়ে দুই পায়ে জটিল রোগে আক্রান্ত। তার পায়ে অপারেশন করাতে হবে। এই চিকিৎসার জন্য ভারতে নিয়ে যেতে হবে।
এ জন্য প্রয়োজন প্রায় ১০ লাখ টাকা। মেয়ের চিকিৎসার চালিয়ে যাওয়ার মতো আর্থিক অবস্থা আমার নেই। আর তাই আমার আদরের মেয়েকে বাঁচাতে সমাজের বিত্তবানদের প্রতি এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি।
বাঁচার আকুতি জানিয়ে তানিয়া আক্তার মুন্নি বলেন, দুপায়ের অসহ্য ব্যথায় আমি চলতে ফিরতে পারি না। এই কষ্ট আমি সহ্য করতে পারছি না। আমি বাঁচতে চাই। আমি এই ব্যথা থেকে মুক্তি চাই।
সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা:
মোহাম্মদ মাকসুদ আলম, মোবাইল- ০১৮২৩৯৮৪৫১৪ (বিকাশ, রকেট), ব্যাংক এশিয়া হিসাব নং- (১০৮৩৪১৫০০৯৪৭২) আকবর হাট শাখা (সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম)।
কেআই/
আরও পড়ুন