ঢাকা, রবিবার   ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

বাঁশখালীর চিত্র পাল্টে দিয়েছে এসএস পাওয়ার (ভিডিও)

অখিল পোদ্দার, একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৪:৪২, ৭ মে ২০২৩

সুপারক্রিটিক্যাল বিদ্যুত কেন্দ্র এসএস পাওয়ার পাল্টে দিয়েছে বাঁশখালীর চিত্র। বেকারের সংখ্যা কমেছে এরইমধ্যে। গড়ে উঠেছে নতুন অবকাঠামো। শিগগিরই শুরু হচ্ছে অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ। সবমিলে আলোর ভুবনে নতুন আলো এসএস পাওয়ার।

বাঁশখালীর পশ্চিম বড়ঘোনা বাজার এখন জেগে থাকে অনেক রাত অব্দি। এসেছে বিদ্যুৎ, হয়েছে অনেক মানুষের কর্মসংস্থান। এসবের উপলক্ষ্য অবশ্য বেসরকারি খাতের বৃহত্তম বিদ্যুৎ কেন্দ্র এসএস পাওয়ার।  

স্থানীয়রা জানান, এখানে একসময়ে গণশত্রু ছিল, মানুষ হাঁটতে পারতোনা। এখন রাতের ১টা পর্যন্ত মানুষ হাঁটে। সারাদেশের মানুষ এখানে থাকতে পারছে। এস আলম গ্রুপ আসার পর গণ্ডামারা আলোকিত হয়েছে। এখানে শিক্ষিত ছিলনা, এখন শিক্ষার হার বেড়ে গেছে। অনেক মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হয়েছে। 

এলাকার আঁধারই শুধু দূর হয়নি, এখানকার সকালগুলোও এখন অন্যরকম আলো ছড়ায়।

এলাকাবাসী জানান, এখানে বিদ্যুৎ ছিল না, প্রজেক্ট হওয়ায় বৈদ্যুতিক আলো চলে এসেছে। সারাদেশ থেকে লোক এসে এখানে কাজ করছে, সেটা দেখেই আমাদের যুবসমাজ এগিয়ে এসেছে।

অল্প ক’দিনের মধ্যেই বদলে গেছে এলাকার অবকাঠামো। নানান ধরণের কাজের কারণে এসেছেন কয়েক হাজার বিদেশি। আবার তাদের কারণেই পাল্টে গেছে হাট-বাজারের বেচাবিক্রি। নির্মাণ হচ্ছে ভালোমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আর সরকারি-বেসরকারি অফিস। 

এসএস পাওয়ার লিমিটেডের সুপারভাইজার মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল হাসান বলেন, “অর্থনৈতিক অঞ্চলের কাজ শেষ হলে হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এর ফলে এলাকার মানুষ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে পারবে।”

এসএস পাওয়ারের জেটি ব্যবহার করতে নির্মাণ হবে বেসরকারি বন্দর। অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলতে কয়েক হাজার একর জায়গা নিয়েছে দেশের বৃহত্তম শিল্প প্রতিষ্ঠান এসআলম গ্রুপ। 

এস আলম গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক সুব্রত ভৌমিক বলেন, “আগে আমরা ২৭ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করে চমক দেখিয়েছি।  এখন আমরা বলছি, এই এলাকায় ১ লাখ কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। এটা আরও একটি চমক হবে। আমাদের দেখাদেখি বাংলাদেশের অন্য ইনভেস্টররাও বিনিয়োগে এগিয়ে আসবেন।”

চীফ প্রজেক্ট কো-অর্ডিনে টর ফারুক আহমেদ বলেন, “প্রায় ৭ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হয়েছে। এরকম আরও ৪টি ইন্ড্রাস্ট্রি হলে তাহলে প্রায় ৩০ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে। মানুষ আশা করছে, এস আলম গ্রুপের বদৌলতে এটা সিঙ্গাপুরের মতো হতে পারে।”

কে জানতো সাগরের এই বুকচেরা বিস্তীর্ণ এলাকায় একসময়ে দেখা দেবে আলোক শিখা। আর সেই আলোক শিখার নাম এসএস পাওয়ার। যার কল্যাণে বদলে গেছে এলাকার দৃশ্যপট, বদলে গেছে যাবে প্রিয় বাংলাদেশ।

এএইচ 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি