বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে নানা রকম বাণিজ্য প্রসারিত হচ্ছে
প্রকাশিত : ০৯:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৬ | আপডেট: ০৯:৫৩, ১৬ এপ্রিল ২০১৬
বাংলা নববর্ষকে কেন্দ্র করে প্রসারিত হচ্ছে নানা রকম বাণিজ্য। এর প্রভাবও পড়েছে দেশের অর্থনীতিতে। এবারের বর্ষবরণ ঘিরে কেনাকাটার উৎসব ছিলো বিগত বছরগুলোর তুলনায় অনেক বেশি। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, পয়লা বৈশাখে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
বাংলা সন গণনার শুরুটা মোগল স¤্রাট আকবরের সময় থেকে। এর মূল লক্ষ্য ছিলো কর আদায়। ক্ষেতের ফসল ঘরে তুলে চৈত্র সংক্রান্তি শেষে বৈশাখের প্রথম দিনটিতে জমিদারের পুরোনো খাজনা পরিশোধ করে নতুন করে শুরু হতো কৃষকের বছর।
আকবরের করা বৈশাখী অর্থনীতির গোড়া পত্তনের পরিধি কালে কালে বাড়তে থাকে। এখন অবশ্য বর্ষবরণে যোগ হয়েছে নতুন মাত্রা। বৈশাখকে ঘিরে নতুন পোশাক কেনার ধুম লাগে। নতুন পাঞ্জাবি, গেঞ্জি ফতুয়া, শাড়ী, ছালোয়ার-কামিজ, জুতা সব দোকানেই বেড়েছে বেচাকেনা।
সুনির্দিষ্ট কোনো পরিসংখ্যান না থাকলেও অর্থনীতিবিদ ও ব্যবসায়ীদের ধারণা, এবারের পয়লা বৈশাখে দেশের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ১০ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে।
ঈদ ও পূজায় বিদেশী পোশাকের দিকে ঝোক থাকলেও নববর্ষ উপলক্ষ্যে বিক্রি হওয়া ৯৯ শতাংশ পোশাকই দেশি।
এবারই প্রথমবারের মতো সরকারি কর্মচারিরা পেয়েছেন বৈশাখী ভাতা। কিছু কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানও ভাতা দিয়েছে কর্মচারিদের। এ কারণে বৈশাখী বাণিজ্যও বেশি হয়েছে বলে মনে করছেন তারা।
শুধু পোশাকই নয় বৈশাখকে ঘিরে জমেছিলো জুয়েলারি ব্যবসাও।
আরও পড়ুন