‘বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান আহমদ শরীফের’
প্রকাশিত : ১৯:১০, ৩ জানুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১১:৩৩, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন ড. আহমদ শরীফ। বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির অন্যতম সেরা পন্ডিত ও মনীষী ড. আহমদ শরীফ স্মরণে এক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন।
আজ বুধবার বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।
সেমিনারে ‘ডক্টর আহমদ শরীফ:মনীষী’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ডক্টর আহমদ কবির।
তিনি বলেন, বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির এই মনীষী ১৯৫২ খেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত বাংলা বিভাগের অস্থায়ী লেকচারার এবং ১৯৫৭ সালে লেকচারার হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। ১৯৬২ সালে হতে তিনি সাংবাদিকতা বিভাগের খন্ডকালীন অধ্যাপকও ছিলেন । ১৯৬৯ সালের তিনি বাংলা বিভাগের প্রধান হিসেবে কার্যভার গ্রহণ করেন এবং ১৯৮৩ সালের ৩১ অক্টোবর তিনি অবসর গ্রহণ করেন। তাঁর এ কর্মময় জীবনে বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশে অসামান্য অবদান রাখেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আলোচক হিসেবে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, দেশ-কাল-সমাজ ও রাষ্ট্রের প্রথাগত সংস্কার পরিবর্তনের লক্ষ্যে সব সময় তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন। ভাববাদ, মানবতাবাদ ও মাকর্সবাদের যৌগিক সমন্বয় প্রতিফলিত হয়েছিল তার চিন্তা-চেতনা, ধ্যান-ধারণা, আচার-আচরণ, বক্তব্যে ও লেখনীতে।
সভাপতির ভাষণে বিশিষ্ট লেখক ও চিন্তক অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, আহমদ শরীফ বড় হয়ে উঠেছিলেন আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদের দুর্লভ অমূল্য পুঁথির ভান্ডার ও সাময়িক পত্রপত্রিকার সম্ভারের মধ্যে । তাঁর জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় তিনি ব্যয় করেছেন মধ্যযুগের সাহিত্য ও সামাজিক ইতিহাস রচনার জন্য।
অন্যান্যদের মধ্যে সেমিনারে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক নেহার করিম। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস।
/ এম / এআর