বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্টের যাত্রা শুরু
প্রকাশিত : ১২:০৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১৯
ক্যান্সার রোগীদের পাশে থাকতে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যক্রম শুরু করেছে বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (ব্যানক্যাট)।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) এক অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করা হয়। এতে ক্যান্সার আক্রান্ত ১০ বছর বয়সী শিশু সাদিয়া তার চিকিৎসার সহযোগিতা কামনা করেন। এই অনুষ্ঠানে প্রদর্শিত বিভিন্ন চিত্রকর্ম বিক্রির অর্থের মাধ্যমে ক্যান্সার আক্রান্তদের জন্য তহবিল গঠন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, ব্যানক্যাটের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি নাজমুস আহমেদ আলবাব, জয়েন্ট ট্রেজারার জিসান হাসিব, ট্রাস্টি রুমানা আহমেদ, সারওয়াত সিরাজ, সাবরিনা শহীদ হাফিজ, মাহজাবীন ফেরদৌস, ব্রাজিলিয়ান রাষ্ট্রদূত হোয়াও তাবাজারা ডি অলিভেইরা জুনিয়র এবং গোল্ডেন হারভেস্টের ডিরেক্টর ও সিআরপি’র ফাউন্ডিং ট্রাস্টি মাকসুদ আহমদে খান।
রোকেয়া আফজাল রহমান বলেন, মানুষকে যে রোগগুলো বেশি ভোগায়, তার মধ্যে ক্যান্সার সবচেয়ে ভীতিকর। তবে ক্যান্সার যদি প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্ত করা যায়, তাহলে চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ মুক্তি লাভ করা সম্ভব। আর এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমরা বাংলাদেশের বিভিন্ন সুবিধার নাগালের বাহিরের মানুষদেরকে ক্যান্সার বিষয়ক পরামর্শ ও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে চাই। তিনি ব্যানক্যাটের এই উদ্যোগের সঙ্গে সবাইকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আমি নিজেও ক্যান্সারের হাত থেকে মুক্তি পেয়েছি প্রাথমিকভাবে শনাক্তকরণের পরে। তাই সুস্থ হয়ে দেশে আসার পর আমার মনে হয় আমি তো ফিরে এসেছি ক্যান্সারের ভয়াল থাবা থেকে, কিন্তু আমার দেশের যারা অবহেলিত তারা কি করে এই রোগের সাথে লড়বে। সেখান থেকেই এই ফাউন্ডেশনের সূচনা।
মাকসুদ আহমেদ খান বলেন, আমি খুবই আনন্দিত এমন একটি মহৎ কাজের সাথে থাকতে পেরে। সামনের দিনগুলিতে এই প্রয়াসকে আরো বেগবান করতে আমাদের সকলকে সংঘবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ফাউন্ডেশন নামে পরিচিত) ক্যান্সার রোগের সাথে যারা যুদ্ধ করে সেইসব সাহসী মনের মানুষদের সাহায্য করার জন্যই এই ট্রাষ্ট বোর্ড গঠন করা।
তিনি বলেন, পরবর্তী জীবনের নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের সহায়তা করবে বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট (বিএএনসিএটি)। এই সংগঠনের উদ্দেশ্য শুধু একটি সংগঠন তৈরি করাই নয়, এমন একটি সমাজ তৈরি করা যাতে রোগি ও তাদের পরিবারকে অনুপ্রেরণা ও উদ্বুদ্ধ করা। যাতে করে তারা একত্র হয়ে নিজেদের অভিজ্ঞতার বিষয়গুলোও জানাতে পারে। ব্যানক্যাট সচেতনতা তৈরি করবে এবং উপস্থিত রোগীদের ইতিবাচক মানসিকতার প্রচারের জন্য সংযুক্ত করবে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট তিনটি মূল্যবোধের উপর গুরুত্ব দেয়- কেয়ার: যখন কেউ ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়, তখন ব্যক্তি নিজে, তার পরিবার এবং বন্ধুদের জন্য জীবন বদলে যায়। বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্ট তাদের সাথে উৎসাহী যত্ন নিয়ে দাঁড়িয়েছে।
দ্বিতীয়টি হলো শক্তি: ক্যান্সার এত সীমাবদ্ধ, এটি ভালোবাসাকে হারাতে দেয় না এবং বিশ্বাসকে ভাঙতে দেয় না। এটি আত্মবিশ্বাসকে ধ্বংস করতে পারে না। এটি মারতেও পারে না।
অন্যটি হচ্ছে আশা: আশা সন্দেহ এবং ভয় কমাতে পারে।
বাংলাদেশ ক্যান্সার এইড ট্রাস্টের সভাপতি মিসেস রোকেয়া আফজাল রহমান এবং ট্রাস্টি বোর্ডে অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা নাজমুস আহমেদ আলবাবসহ আরও অনেকেই এই ট্রাস্ট বোর্ডে রয়েছে যারা এ ধরনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে।
বিএএনসিএটি হচ্ছে ক্যান্সার প্রতিরোধ, জীবন রক্ষা, এবং ক্যান্সারে আক্রান্ত হ্রাসকারী, গবেষণা, শিক্ষা, এডভোকেসি এবং সেবার মাধ্যমে ক্যান্সার দূরীকরণকে একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা হিসাবে দেশব্যাপী, সম্প্রদায়ভিত্তিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
এআই/