বাংলাদেশ ব্যাংকের আদলেই ভারতীয় ব্যাংক লুটের চেষ্টা
প্রকাশিত : ১৩:০৯, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ | আপডেট: ১৩:১০, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১৮
বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার মতোই ভারতের সিটি ইউনিয়ন ব্যাংক থেকে ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে হ্যাকাররা। চলতি মাসে হ্যাকাররা এ ব্যর্থ চাষ্টা চালান বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
সিটি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হ্যাকাররা সিটি ব্যাংকের প্রিন্টারটি হ্যাক করে এটিকে অচল করে দেয়। ওই প্রিন্টারটি বৈশ্বিক অর্থ লেনদেনের মাধ্যম সুইফটের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। ছয় ফেব্রুয়ারি হ্যাকাররা ওই কার্যক্রম চালায়। এতে জালিয়াতির মাধ্যমে করা তিনটি অর্থ পরিশোধের নির্দেশনা স্বীকৃতি বার্তা হিসেবে প্রিন্টারে দেখায়নি। এবং এটি পরদিন সকাল পর্যন্ত দেখায়নি বলে জানিয়েছেন তারা।
রয়টার্সকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্যাংকটির সিইও এন কামাকোডি বলেন, প্রথম আমরা এটাকে হ্যাকিং বলে ভাবিনি। সবাই ভেবেছিলাম এটা নেটওয়ার্কের সমস্যা হতে পারে। সিস্টেম বিভাগের সবাইকে আনা হলো। তারা বিষয়টি দেখলেন, পরবর্তীতে রাত সাড়ে ১০টায় অফিস বন্ধ করে চলে যান তারা। পরদিন সকালে ওই প্রিন্টারটির সঙ্গে সুইফটের যোগাযোগ সচল করা হলে আগের দিনের সব হিসেব পরখ করা হয়। এতে দেখা যায়, তিনটি নির্দেশনা আমাদের ব্যাংক থেকে দেওয়া না হলেও অর্থছাড়ের বিষয়ে ওই ব্যাংকের কাছে ২০ লাখ ডলার চেয়ে নির্দেশনা চলে যায়।
ওই নির্দেশনাগুলো সিটে ব্যাংকের দুবাই, তুরস্ক ও চীনের প্রতিনিধি শাখার মধ্য দিয়ে পাঠানো হয়। তবে ইতোমধ্যে ৫ লাখ ডলারের অর্থ ছাড়ের বিষয়টি আটকানো গেছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বাকি ১৫ লাখ ডলার আটকানোর ব্যাপারে ব্যবস্থা নিচ্ছে আইটি খাতের লোকজন। জানা গেছে, বাকি ১৫ লাখ ডলার উদ্ধারেও কাজ করে যাচ্ছে ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
২০১৬ সালে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রিন্টারকে অচল করে দিয়ে ৮১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ( প্রায় ৬৪৮ কোটি টাকা) হাতিয়ে নেয় হ্যাকাররা। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের মাধ্যমে সুইফট কোড জালিয়াতির মাধ্যমে তারা এই অর্থ হাতিয়ে নিয়েছে। ঘটনার দুই বছর পাড় হয়ে গেলেও বাংলাদেশ কাউকে শনাক্ত করতে পারেনি। আর দেশটি কেবল ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স
এমজে/
আরও পড়ুন