বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি করা অর্থের কিছু অংশ ফেরত দিতে চান অভিযুক্ত চীনা ব্যবসায়ী
প্রকাশিত : ১৯:৩২, ২৯ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৯:৩২, ২৯ মার্চ ২০১৬
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের চুরি করা অর্থের কিছু অংশ ফেরত দিতে চান অভিযুক্ত চীনা ব্যবসায়ী কিম অং। ফিলিপাইনে ম্যানিলায় সিনেট কমিটির শুনানিতে বলেন, এখনও ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার সোলাইরি ক্যাসিনোতে আছে। এছাড়া অর্থ চুরির সাথে সু হুয়া গাও এবং ডিং ঝিজে নামে দুই চীনা ব্যবসায়ী জড়িত বলে জানান তিনি। এদিকে কিম অং ও ইয়ং সু’ এর বিরুদ্ধে সমন জারি করেছে ফিলিপাইনের বিচার বিভাগ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় বের আসছে নতুন সব তথ্য। সিনেট কমিটির শুনানিতে এবার বেরিয়ে এলো দুই চীনা ব্যবসায়ী সু হুয়া গাও এবং ডিং ঝিজে’র নাম। এদের হাত ধরেই ফিলিপাইনের অর্থ ব্যবস্থায় প্রবেশ করেছে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার। এসব তথ্যই জানালেন রিজার্ভের অর্থ চুরির ঘটনায় অন্যতম সন্দেহভাজন চীনা ব্যবসায়ী কিম অং।
তিনি বলেন, এখনও সোলাইরি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষের কাছে ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার রয়েছে। এটা বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তরের ইচ্ছা প্রকাশ করেন কিম।
অ্যাকাউন্ট খোলা নিয়েও প্রশ্নের মুখে পড়েন কিম অং। জবাবে, অর্থ পাচারের জন্য রিজাল ব্যাংকের জুপিটার স্ট্রিট শাখার ব্যবস্থাপক মায়া দেগুইতোকে দায়ী করেন তিনি। বলেন, অ্যাকাউন্ট খোলার জন্য সু হোয়া গো নামের একজনকে মায়ার কাছে পাঠিয়েছিলেন ঠিকই, তবে অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির কাজ মায়াই করেছিলেন।
যদ্ধিসঢ়;ও এর আগে মায়া দাবি করে আসছিলেন কিম এর নির্দেশেই ভুয়া অ্যাকাউন্ট খোলেন। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মঙ্গলবারের শুনানিতে অংশ নেননি মায়া।
এছাড়া একই দিনে মাত্র দুই সেকেন্ডের ব্যবধানে ৩৫টি পেমেন্টের ব্যাপারে নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকের দায়িত্ব নিয়েও প্রশ্ন ওঠে শুনানিতে। আর আইনগত দিক নিয়ে সিনেটরদের প্রশ্নের মুখে পড়েন আরসিবিসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ।
এদিকে শুনানিতে অংশ নিয়ে ক্যাসিনোতে কারা কারা অর্থ এনেছে সে তথ্য সিনেট কমিটিকে দিয়েছে ফিলিপাইনের সবচেয়ে বড় ক্যাসিনো সোলাইরি রিসোর্ট কর্তৃপক্ষ। এরইমধ্যে শুনানিতে নাম আসা ডিং ঝিজে’র অর্থও বাজেয়াপ্ত করেছে।
অন্যদিকে অর্থ চুরির ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের পর, এবার নিউইয়র্কের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংকও আইনজীবী নিয়োগ দিয়েছে ।
আরও পড়ুন