বাংলাদেশে কিডনি রোগ যে পর্যায়ে রয়েছে
প্রকাশিত : ১১:৪০, ১১ মার্চ ২০১৮ | আপডেট: ১০:৪৫, ১২ মার্চ ২০১৮
বাংলাদেশে শিশুর জন্মের সময় কিডনি রোগ শনাক্ত না হওয়ায় পরে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আজ রোববার থেকে শিশুদের কিডনি রোগ নিয়ে ঢাকায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দু`দিনের আন্তর্জাতিক সম্মেলন শুরু হচ্ছে। জার্মানি, অস্ট্রেলিয়া এবং ভারতসহ বিভিন্ন দেশের বিশেষজ্ঞরা এতে অংশ নিচ্ছেন।
প্যাডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ নামের শিশু বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সংগঠন এটির আয়োজক। সংগঠনটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ বিবিসিকে জানিয়েছেন, অভিভাবকদের সচেতনতার অভাব এবং চিকিৎসা সুবিধা না পাওয়ায় কিডনি রোগে আক্রান্ত শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে।
মোহাম্মদ হানিফের মতে, বাংলাদেশে এখন শিশুদের যে কিডনি রোগের প্রবণতা তা উদ্বেগজনক পর্যায়ে রয়েছে। আর এর একটি বড় কারণ হলো সাধারণত গ্রাম বাংলায় একজন মানুষের যখন বাচ্চা হয় তখন তার অর্থনৈতিক সামর্থ্য কম থাকে। এ কারণে তারা শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা করাতে পারেন না।
তার মতে, অধিকাংশ ক্ষেত্রেই কিডনি রোগটা শুরু হয় শিশু বয়স থেকেই। কিন্তু অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা তাদের হয় না।
তিনি বলেন, কিছু ক্ষেত্রে কিডনি রোগের সমস্যাটি জন্মের সময় থেকেই শুরু হয়। কিন্তু তাদের শুরুতেই চিহ্নিত করা গেলে হয়তো চিকিৎসা করা যেতো। পরে যখন এসব রোগীরা চিকিৎসকের কাছে আসে ততদিনে অবস্থার ৭০ ভাগ অবনতি ঘটে।
প্যাডিয়াট্রিক নেফ্রোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশ এর সভাপতি বলেন, হাসপাতালে ভর্তির ভিত্তিতে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী শিশুদের ক্ষেত্রে ৫ থেকে ৭ শতাংশ শিশু রোগী কিডনি রোগে আক্রান্ত।
তিনি আরও বলেন, অনেক সময় সাধারণ ইউরিন ইনফেকশনে হয়তো অনেক সময় ওষুধ দেওয়া হয়। কিন্তু ভেতরে আর কোনো সমস্যা আছে কি-না যেটা তার কিডনির অবনতি পরে হতে পারে কি-না সেটা দেখা হয় না।
অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ বলছেন, দেশে কিডনি রোগের চিকিৎসা সুবিধা বেড়েছে। কিন্তু তারপরেও প্রতিবছরই বিপুল সংখ্যক মানুষ কিডনি রোগ নিয়ে হাসপাতালে আসছেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রে ১৫ থেকে ৩০ হাজার পর্যন্ত ব্যক্তি নতুন ভাবে কিডনি সমস্যায় আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান তিনি। তার মতে এসব রোগীদের মূল সমস্যার সমস্যার শুরু হয় শিশুকাল থেকেই।
ঢাকাসহ বড় শহরগুলোতে শিশুদের কিডনি রোগের চিকিৎসা সুবিধা কিছুটা থাকলেও দেশের অধিকাংশ এলাকাতেই এ সুবিধা তেমন নেই বলে জানিয়েছেন সংগঠিনটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ হানিফ।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।
একে//এসএইচ/