ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে নার্সিং পড়াশোনা আন্তর্জাতিক মানের (ভিডিও)

সাইফ ইসলাম দিলাল

প্রকাশিত : ১২:২১, ২৬ জানুয়ারি ২০২২ | আপডেট: ১২:২৪, ২৬ জানুয়ারি ২০২২

প্রবাসে বাংলাদেশি কর্মীরা মাসে আয় করেন প্রায় ২০৩ মার্কিন ডলার। প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় এটি খুবই কম। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী রপ্তানি হলে উচ্চ বেতনের পাশাপাশি রেমিট্যান্সেও বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।

সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে দেশে ৫৪৭টি ডিপ্লোমা নার্সিং অ্যান্ড মিডওয়াইফারি কলেজ রয়েছে। এরমধ্যে বিএসসি প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ২৭১।

প্রতিষ্ঠানগুলোতে আসন রয়েছে ৩৯ হাজারের মতো। আর এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা শেষে প্রতি বছর কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে ১৫ হাজার নার্স বা সেবিকা।

২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশে নিবন্ধিত নার্স ও মিডওয়াইফাইয়ের সংখ্যা ছিল ৮০ হাজার ৭৩৯ জন। তাদের প্রায় ৫৫ হাজার সরকারি হাসপাতালে চাকরি করেন। বাকিদের কর্মসংস্থান হয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় সরকার গত বছর ৬ হাজার নতুন নার্স নিয়োগ দেয়।

বিএসএমএমইউ নার্সিং অনুষদের ডীন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘বিশেষজ্ঞ যেমন ডাক্তার আছেন এরকম বিশেষজ্ঞ নার্স তৈরিরও পদক্ষেপ আমরা নিয়েছি। বাংলাদেশের নার্সদেরকে বিশ্বমানের তৈরি করার জন্য এই উদ্যোগ।’

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে নার্সিং পড়াশোনা আন্তর্জাতিক মানের। এ কারণে মধ্যপ্রাচ্য ছাড়াও ইউরোপ-আমেরিকার মতো উন্নত দেশগুলোতে স্বাস্থকর্মী পাঠানোর যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। বৈশ্বিক চাহিদা বিবেচনা করে এ খাতে দক্ষ জনবল তৈরি জরুরি।

ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ এমডি ডা. আশীষ চক্রবর্তী বলেন, ‘নার্সিং শিক্ষায় সরকার গুরুত্ব দিচ্ছে, আমরা আরও বেশি মনোযোগ আশা করছি। এভাবে কিন্তু স্বাবলম্বি হওয়ার সুযোগ আছে।’

নার্সিং খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বিত ও জোড়ালো উদ্যোগের দাবি জানান সংশ্লিষ্টরা। 

নার্সিং শিক্ষাবীদ ও অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা ডা. মুক্তি রিটা গোমেজ বলেন, ‘আমাদের দেশে নার্সিং শিক্ষার সুযোগ যেমন বেশি, তেমনি চাকরির সুযোগও বেশি। শিক্ষার পর নার্সরা বেকার থাকেন না।’

মার্কিন প্রতিষ্ঠান প্রজেক্ট হোপ বলছে, বর্তমান দশকের শেষ নাগাদ বিশ্বে ৮ কোটি স্বাস্থ্যকর্মীর দরকার পড়বে। আর এই সময়ের মধ্যে জনবলের ঘাটতি বেড়ে দাঁড়াবে প্রায় ১ কোটি ৮০ লাখ। 

বিশেষজ্ঞদের অভিমত, দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে অগ্রসর হলে বাংলাদেশ বৈশ্বিক বাজারে স্বাস্থকর্মীর ঘাটতি পূরণে বড় ভূমিকা রাখতে পারে। কারণ, বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠী এখন কর্মঠ। এই মানবসম্পদ কাজে লাগানোর জন্য চাই সমন্বিত উদ্যোগ। 

বিএমইটি ডিজি মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘বিদেশে আমরা নার্স কি করে পাঠাতে পারি, এ কার্যক্রমটি নিয়ে ইতিমধ্যে ডিজি নার্সিংয়ের সাথে সভা করেছি। নতুন যে নার্সিং ট্রেনিং ইনস্টিটিউট সরকার অনুমোদন দিয়েছে এক্ষেত্রে প্রায় ২৭ হাজার নার্স প্রতিবছর তৈরি করার একটা সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ২০২৪ সাল নাগাদ তারা বের হবেন।’
এএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি