ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচার
বাংলাদেশে ফিরতে চলেছে পাক সেনা! গভীর উদ্বেগে ভারত
প্রকাশিত : ২১:১৫, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪ | আপডেট: ১১:১১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে চলছে টানাপোড়েন। ভারতীয় মিডিয়ার অপপ্রচারসহ নানান ইস্যুতে সেই সম্পর্ক ক্রমশ খারাপ হচ্ছে। কড়া বার্তা যেমন ওপার থেকে আসছে, পাল্টা জবাব যাচ্ছে এপার থেকেও। সম্পর্ক উন্নয়ের কথা বলা হলেও থেমে নেই ভারত ও দেশটির মিডিয়ার অপপ্রচার। এবার, তাদের মিডিয়ায় ফলাও করে প্রচার করা হচ্ছে, পাক সেনার জন্য দরজা খুলে দিচ্ছে বাংলাদেশ। পাঁচ দশকের বেশি সময় পর বাংলাদেশে ফিরছে পাকিস্তানের সেনা। আর এই খবরে ভারতীয় প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞদের মধ্যে গভীর উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। তাদের মতে, এ পদক্ষেপ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার কৌশলগত সম্পর্কের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকা জানিয়েছে, বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কোন্নয়নের প্রচেষ্টা চলছে। তার অংশ হিসেবেই রাওয়ালপিন্ডি সেনাসদরের কর্মকর্তাদের ঢাকায় প্রশিক্ষণ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। পাকিস্তানি সেনাবাহিনী ফেব্রুয়ারি ২০২৫ থেকে ময়মনসিংহসহ বিভিন্ন স্থানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেবে। এ প্রশিক্ষণ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশের ১০টি সামরিক কমান্ডে পরিচালিত হবে।
ভারতের প্রতিরক্ষা বিশেষজ্ঞরা এই পদক্ষেপকে উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে দেখছেন। তারা শিলিগুড়ি করিডরের মতো কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ এলাকা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তান থেকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ আমদানি বৃদ্ধি নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন ভারতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। আনন্দবাজার জানিয়েছে, গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ৪০ হাজার রাউন্ড বুলেট, ২ হাজার ট্যাঙ্ক শেল এবং ৪০ টন আরডিএক্স পাকিস্তান থেকে আমদানি করেছে।
ভারতের মিডিয়ার দাবি, পাকিস্তান বরাবরই ভারতকে টার্গেট করে এগোয়। এবার বাংলাদেশকে ঢাল করে পাকিস্তান জঙ্গি নাশকতার ছক কষতে পারে বলে ধারণা তাদের। তারা বলছেন, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ যদি এক পথে হাঁটে তাহলে সীমান্তে বড় সমস্যা দেখা দিতে পারে।
এই নিয়ে ভারতের সামরিক বিশেষজ্ঞ অশোক কুমার বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তারে ঘনিষ্ঠতা বেড়েই চলেছে। এটা ভারতের কাছে চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই এতদিন গোপনে বাংলাদেশের কাজ করেছে। এবার তারা প্রকাশ্যে রাস্তায় নেমেছে।
বিশ্লেষকদের একাংশের দাবি, ১৯৭১ সালের ঘটনার প্রতিশোধ নিতে চাইছে পাক সেনা। সেই কারণেই বাংলাদেশের মাটিতে কট্টরপন্থা এবং ভারত বিরোধিতার বীজ পুঁতে দিতে উঠেপড়ে লেগেছে আইএসআই। এ ব্যাপারে চিনও তাদের সাহায্য করছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এমবি
আরও পড়ুন