ঢাকা, শনিবার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশে মুক্তিযোদ্ধা রাষ্ট্রপতি

গৌতম লাহিড়ী

প্রকাশিত : ১৫:৫১, ২৬ মে ২০২৩

সালটা ১৯৬৬। পাবনায় এসেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তখন তিনি পূর্ব পাকিস্তানের শহর-গ্রাম চষে বেড়াচ্ছেন ছয় দফা সনদের প্রচারের জন্য। এই ছয় দফা সনদের অন্যতম ছিল পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পূর্ব পাকিস্তানের সার্বভৌমত্বের দাবি। জনসভার প্রাক্কালে স্থানীয় আওয়ামি লীগ নেতা বর্ষীয়ান সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বগা মিয়াঁর বাসায় উঠেছিলেন। সেই সময় পাশের বাড়ির শরিফুদ্দিন আনসারির পুত্র - ১৭ বছরের এক যুবক দূর থেকে জীবন্ত কিংবদন্তিকে চোখের দেখা দেখবার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিল। বগা মিয়াঁকে 'বগা চাচা' বলেই সে সম্বোধন করতো। মেধাবী ছাত্র বলে চাচা স্নেহ করতেন। সেই কারণে বাড়ির মধ্যে ঢুকে পড়লো। রাজনীতি নিয়ে আগ্রহ থাকলেও সে কোনো ছাত্র সংগঠনের সদস্য নয়। সবে মাত্র এসএসসি পাশ করেছে। বগা চাচা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ করিয়ে দিলেন। মৃদু হেসে বঙ্গবন্ধু বললেন - মাঠে আয়; তারপর কথা বলবো। বঙ্গবন্ধুর আবেগময় যুক্তিপূর্ণ ভাষণ শুনে যুবক তো রীতিমতো উত্তেজিত। শরীরে যেন রক্ত ফুটছে। পশ্চিম পাকিস্তানের সেনা শাসকদের অত্যাচার-শোষণের কাহিনী এক যুব রাজনীতিবিদের জন্ম দিলো। সেই যুবক আজকের বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি - মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।

পাবনার শিবরামপুরের জুবিলী ট্যাংকের কাছেই সাহাবুদ্দিনের জন্মস্থানের মধ্যেই স্বাধীনতার বীজ প্রোথিত ছিল। ১৯৭১-এর ২৪ এপ্রিল পাকিস্তান সেনা রাজাকারদের সঙ্গে নিয়ে এই জুবীলি ট্যাংকেই নৃশংস হত্যাকান্ড চালায়। যে ঘটনা ছাত্র সাহাবুদ্দিনের মনে গভীর প্রতিহংসার জন্ম দেয়। গণহত্যার বধ্যভূমি হয়ে ওঠে এলাকার প্রথিতযশা কলেজ - এডোয়ার্ড কলেজ। তখনকার পূর্ব পাকিস্তানের প্রাচীনতম কলেজ। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ গোপাল চন্দ্র লাহিড়ী কলেজের প্রতিষ্ঠাতা। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে থাকা কলেজটির প্রথমে নাম ছিল পাবনা কলেজ। পরে রাজা সপ্তম এডোয়ার্ডের নামে হয় এডোয়ার্ড কলেজ। সত্তর দশকে কলকাতার মতো পাবনায় ছিল নকশালপন্থিদের রমরমা। নকশাল নেতা চারু মজুমদারও এই কলেজের প্রাক্তন ছাত্র।

১৯৭১-এর ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু 'স্বাধীন বাংলাদেশ' গঠনের ঘোষণা করেন। ততদিনে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বিরূদ্ধে লড়াই করার জন্য তৈরি হয়েছে মুক্তিবাহিনী। পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন জেলায় স্ততঃস্ফূর্তভাবে গড়ে উঠেছে আরও অনেক বাহিনী। তার মধ্যে অন্যতম একটি মুজিব বাহিনী। নিয়মিত সেনা এবং সাধারণ নাগরিকদের নিয়ে গড়ে ওঠে এই বাহিনী। রাষ্ট্রপতি হওয়ার পর সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশের 'সমকাল' পত্রিকায় দেওয়া প্রথম সাক্ষাৎকারে বলেছেন, 'মুজিব বাহিনীর সদস্য হয়ে ভারতে (দেরাদুনে) সামরিক প্রশিক্ষণ নিয়েছি।' এই বাহিনীর সংগঠক ছিলেন ছাত্রনেতা শেখ ফজলুল হক মণি, তোফায়েল আহমেদ, আবদুর রাজ্জাক, সিরাজুল আলম খান। এদের সঙ্গেই যোগ দিয়েছিলেন সাহাবুদ্দিন। তিনি 'স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ'-এর আহ্বায়ক হন। পরে পাবনা জেলার 'যুবলীগ'-এর সম্পাদক।

মুক্তিযুদ্ধের জন্য গোটা পূর্ব পাকিস্তানকে এগারোটি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। তারমধ্যে একটি ছিল রাজশাহী, পাবনা, বগুরা নিয়ে সপ্তম সেক্টর। এই বাহিনীর সদস্য হয়ে সাহাবুদ্দিন গেরিলা যুদ্ধে প্রশিক্ষিত হন। কয়েকবার মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে ফিরেছেন।

উল্লেখ করার মতো ঘটনা হলো - ২৬ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষণার আগেই ২৩ মার্চ পাবনা শহরের টাউন হলের মাথায় স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। ২৮ মার্চ টেলিফোন এক্সচেঞ্জের মাঠে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ সামরিক সংঘর্ষে গেরিলা বাহিনী জয়ী হয়। গোটা পাবনা থানা এলাকা মুক্তাঞ্চল হয়ে ওঠে। তবে এই স্বাধীনতার মেয়াদ ছিল সীমিত। ১০ এপ্রিল বিশাল পাকিস্তান বাহিনী পুনরায় এলাকা দখল করে। আকাশ থেকে মদত দেয় পাকিস্তান বায়ুসেনা। শুরু হয় গণহত্যা। মুক্তিযোদ্ধা জাহিরুল ইসলাম বিশু তাঁর 'মুক্তিযুদ্ধে পাবনার ভূমিকা' পুস্তকে সেই লোমহর্ষক কাহিনীর বিস্তারিত বর্ণনা করেছেন।

বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে সাহাবুদ্দিনের আবার দেখা হলো স্বাধীনতার পর। ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। পাবনার নগরবাড়িতে 'মুজিব বাঁধ' উদ্বোধন করতে আসেন বঙ্গবন্ধু। সাহাবুদ্দিন ততদিনে পাবনা জেলার 'ছাত্রলীগ'-এর সভাপতি। সভাপতি হিসাবে সাহাবুদ্দিন মুজিবুর রহমানকে স্বাগত জানান। বঙ্গবন্ধু সাহাবুদ্দিনের ভাষণের প্রশংসা করলেন। “তুই তো বেশ ভালো বলিস।' বঙ্গবন্ধু হেলিকপ্টারে ঢাকা ফিরবেন। সঙ্গে নিয়ে গেলেন সাহাবুদ্দিনকে। ঢাকায় পৌঁছে ক্যাপ্টেন মনসুর আলিকে বললেন - একে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে ভালো করে খাওয়া দাওয়া করাও। তারপর পাবনা যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিও। সাহাবুদ্দিন সেই স্মৃতি আজও ভোলেননি। বঙ্গবন্ধুর প্রতি অকৃত্রিম আনুগত্য তৈরি হলো।

যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশকে পুর্নগঠন করাই ছিল বঙ্গবন্ধুর চ্যালেঞ্জ। স্বাধীনতা বিরোধী শক্তি জনতার দুর্দশাকে হাতিয়ার করে দেশজুড়ে আওয়ামি লীগ বিরোধী জনমত তৈরি করতে শুরু করে। নবজাত স্বাধীন বাংলাদেশকে বাঁচিয়ে রাখা ছিল বঙ্গবন্ধুর প্রধান কাজ। পরিস্থিতি সামলাতে গিয়ে তিনি 'বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামি লীগ' নামে নতুন দল গঠন করেন। যা 'বাকশাল' নামে পরিচিত। মূলত সমাজতান্ত্রিক অর্থনীতি প্রয়োগ করতে গিয়েই দক্ষিণপন্থিদের রোষানলে পড়লেন বঙ্গবন্ধু। সেই সময়ে সাহাবুদ্দিন বাকশালের পাবনা জেলা কমিটির যুগ্ম সম্পাদক হন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু সপরিবারে বিপথগামী বিদ্রোহী সেনাবাহিনীর হাতে নিহত হন।

সেনামদতে রাষ্ট্রপতি হয়ে গেলেন খোন্দকার মোস্তাক আহমেদ। দেশে জারি হলো সামরিক শাসন। বঙ্গবন্ধু মন্ত্রিসভার সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হলো। পরিস্থিতি এমন হলো যে বঙ্গবন্ধুর নিহত হওয়ার সংবাদও তৎক্ষণাৎ প্রকাশিত হয়নি। বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউট পরে 'সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু' নামে তিন খন্ডের পুস্তক প্রকাশ করে। তাতেই রয়েছে, বঙ্গবন্ধু নিহত হওয়ার পরে আওয়ামি লীগ সমর্থক বুদ্ধিজীবিরা প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি। ব্যাতিক্রম পাবনার সাহাবুদ্দিন। তিনি প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর হত্যার নিন্দা করলেন।

একদিন মধ্যরাতে সাহাবুদ্দিন ও আরো কয়েকজন আওয়ামি লীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সময়কার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথা তিনি নিজে বলেছেন -

“একদিন পাবনা কারাগার থেকে মধ্যরাতে ক্ষেতে নিয়ে যায় পাবনার সামরিক প্রশাসক ক্যাপ্টেন ফজলুর এবং আরও কয়েকজন সামরিক অফিসার। আমাদের চোখ বেঁধে ওদের একটা ক্যাম্পে নিয়ে যেতো। অমানুষিক নির্যাতন করতো। দু'দিন পর আবার ফিরিয়ে দিতো কারাগারে। এইভাবেই চলছিল আড়াই মাস। কয়েকদিন পর আমাকে আর ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরিফ ডিলুকে অন্য এক গাড়ি করে চোখ বেঁধে বেশ কিছু দুরে ক্ষেতের মধ্যে নিয়ে যাওয়া হয়। মাঠের মধ্যে ফেলে দেয়। হঠাৎ গুলির আওয়াজ শুনি। মনে হলো মৃত্যু শিয়রে। না। মৃত্যু হয়নি। সামরিক অফিসাররা ভয় দেখানোর জন্য করেছিল। এরা জানতে চায় আমরা কারা কারা বঙ্গবন্ধুর পক্ষে আন্দোলন করার কথা ভাবছি। বেঁচে থাকলেও মৃত্যুভয় ছিল। চার জাতীয় নেতাকে জেলের মধ্যেই খুন করা হয়। এভাবেই চলছিল।"

সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ বিচার বিভাগের কাজে যোগ দেন। কিছুদিন সাংবাদিকতাও করেছেন। তিনি জেলা বিচারক পদেও আসীন ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে বঙ্গবন্ধু হত্যার হত্যাকারীদের শাস্তি দেওয়ার কাজ তদারকির দায়িত্ব দেন। তিনি বাংলাদেশের 'দুর্নীতি দমন কমিশন'-এর কমিশনার হিসাবে উল্লেখজনক কাজ করেন। বিশেষ করে তাঁর সময়েই পদ্মা সেতুর দুর্নীতি অভিযোগ নিয়ে তদন্ত হয়। দীর্ঘ তদন্তের পর দেখা যায় বিশ্ব ব্যাঙ্ক যে অভিযোগ করেছে তা ভিত্তিহীন। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই কানাডার আদালত দুর্নীতির অভিযোগ থেকে বাংলাদেশকে মুক্ত করে। আজ সেই পদ্মা সেতু বাস্তব। হয়তো সেটাও একটা গুরুত্বপূর্ণ কারণ যার ফলে রাষ্ট্রপতি পদে তাঁর মনোনয়ন।

একসময়ে বাংলাদেশ উত্তাল হয়ে ওঠে হলমার্ক কেলেংকারিতে। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ব্যাংক 'সোনালি' এক অখ্যাত সংস্থা হলমার্ককে ৩৫ বিলিয়ন টাকা পাইয়ে দিয়েছিল। সেই তদন্তের ভার ছিল সাহাবুদ্দিনের হাতে। আরেকটি কেলেঙ্কারিও প্রবল শোরগোল তৈরি করে। ডেসটিনি গোষ্ঠী ভুয়ো লগ্নি দেখিয়ে প্রচুর টাকা নয়ছয় করেছিল। সেই সময়েও সাহাবুদ্দিন নিরপেক্ষ তদন্তের দায়িত্ব পালন করেন। সারা দেশে তিনি দুর্নীতি নিরোধক কমিটি তৈরি করে দিয়েছিলেন। বিএনপি ক্ষমতায় থাকাকালীন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর যে অতাচার করে তারও নিরপেক্ষ তদন্ত করে জনমানসে নিজের ভাবমুর্তি উজ্জ্বল করেন। তাঁর আইন সম্পর্কে প্রগাঢ় পাণ্ডিত্য দেখে তাঁকে আওয়ামি লীগের নির্বাচন কমিটির দায়িত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দেওয়ার সময়ে তিনি ইসলামি ব্যাঙ্কের ভাইস চেয়ারম্যান পদ থেকে ইস্তফা দেন।

৭৪ বছরের সাহাবুদ্দিন রাষ্ট্রপতি হওয়ার কথা স্বপ্নেও ভাবেননি। বরং তিনি আগামী নির্বাচনে পাবনা থেকে সংসদে যাওয়ার জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের দশ বছরের মেয়াদ উত্তীর্ণ শেষে নতুন রাষ্ট্রপতির মনেনোয়ন নিয়ে জল্পনা চলছিল। হঠাৎ একদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁকে ফোন করে বলেন - "প্রস্তুত হন। আপনি রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পেশ করবেন।” তাঁর নিজের কথায় - "আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়লো। কিংকর্তব্যবিমূঢ়।” তিনি এমন সময়ে রাষ্ট্রপতি মনোনীত হলেন যখন এক বছরের কম সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের নির্বাচন। নির্বাচন নিয়ে বিরোধী বিএনপি জলঘোলা করতে শুরু করেছে। তারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে নির্বাচন চান না। শেখ হাসিনার পরিবর্তে নিরপেক্ষ কেয়ারটেকার সরকারের তত্ত্বাবধানে নির্বাচন চাইছেন। এইজন্য পশ্চিমী দেশগুলির সহযোগিতা চাইছেন। তাঁরাও সকলে বিবৃতি দিচ্ছেন 'অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন হওয়া উচিত।' ফলে এই সময়ে বাংলাদশের রাষ্ট্রপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার পর প্রথম সাক্ষাৎকারে সাহাবুদ্দিন আসন্ন সাধারণ নির্বাচন সম্পর্কে মনোভাব স্পষ্ট করে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন - “একসময়ে বাংলাদেশে কেয়ারটেকার সরকার হওয়ার বাস্তব প্রয়োজনীয়তা ছিল। হুসেন মহম্মদ এরশাদ একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করার পর বাংলাদেশের সকল রাজনৈতিক দল চেয়েছিল নিরপেক্ষ সরকার তৈরি হোক। তাই সংবিধানে নতুন ধারা (৫৮গ) যুক্ত করে নির্বাচনের সময়ে কেয়ার টেকার সরকার তৈরির সিদ্ধান্ত হয়েছিল। পরে ২০১১ সালে সুপ্ৰিম কোর্ট সেই ধারাকে বাতিল করে দেয়। সংসদীয় গণতন্ত্রে কোনো অনিবার্চিত সরকার হতে পারে না। ফলে সর্বোচ্চ আদালত যখন বাতিল করে দিয়েছে, তখন নতুন করে কেয়ারটেকার সরকার নিয়ে আলোচনার প্রয়োজন নেই।” এদিক থেকে শেখ হাসিনা সরকার নিশ্চিন্ত। যেভাবে ভারত সহ সব গণতান্ত্রিক দেশে নির্বাচন হয়ে সেইভাবেই বাংলাদেশেও নির্বাচন হবে।

(লেখক: বিশিষ্ট সাংবাদিক ও দিল্লী প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি)
 


** লেখার মতামত লেখকের। একুশে টেলিভিশনের সম্পাদকীয় নীতিমালার সঙ্গে লেখকের মতামতের মিল নাও থাকতে পারে।
Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি