ঢাকা, বৃহস্পতিবার   ২৮ নভেম্বর ২০২৪

বাংলাদেশের বিনিয়োগ আইন সহজ করা জরুরি

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ১৫:৫৯, ১০ মে ২০২০

চলমান করোনা ভাইরাসের প্রভাবে থমকে আছে বিশ্ব অর্থনীতির চাকা। প্রতিদিনই বাড়ছে অর্থনৈতিক মন্দার শঙ্কাও। 

করোনা পরবর্তী সময়ে চীন বিমুখ উন্নত দুনিয়া। ইতোমধ্যেই আলোচনায় এসেছে পরবর্তী বিনিয়োগস্থল নির্ধারণ নিয়ে। এমন পটভূমিতে বিদেশি বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে কাজ করছে শিল্প মন্ত্রণালয়, বিডা, বেজাসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো।

ইতিমধ্যে করোনার পরিস্থিতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ কয়েকটি দেশ চীন থেকে বিনিয়োগ সরিয়ে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এমনকি চীন থেকে বিনিয়োগ প্রত্যাহারে বড় ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে জাপান সরকার। বলা চলে বিনিয়োগের জন্য চীনের বিকল্প খুঁজছে উন্নত বিশ্ব। 

নতুন করে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারতে বিনিয়োগের কথা ভাবা হচ্ছে। বসে নেই বাংলাদেশও। এমন প্রেক্ষাপটে সারা বাংলাদেশের বিনিয়োগ আইন সহজ করা জরুরি বলে মনে করছেন দেশের অর্থনীতিবিদরা। 

এ ব্যাপারে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘যে সমস্ত জাপান কোম্পানি চীন থেকে বেরিয়ে আসবে তাদের নতুন করে বিনিয়োগে ২ দশমিক ৩ বিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেবে জাপান সরকার। আমাদের ইকোনমিক জোন রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সরকার ব্যবসা বান্ধব।’ 

তিনি বলেন, বিদেশি বিনিয়োগ আনতে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আমেরিকাও চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ তুলে নিতে উঠে পড়ে লেগেছে। যা আমাদের জন্য বড় একটা সুযোগ।’ 

ভারত, পাকিস্তান, নেপাল ও শ্রীলংকাসহ দক্ষিণ এশিয়ার যেকোন দেশের তুলনায় বাংলাদেশে বিনিয়োগ লাভজনক। অন্যান্য দেশের তুলনায় আমাদের উৎপাদন ব্যয় কম হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই বিনিয়োগকারীরা তারা এখানে আগ্রহী হবে বলেও জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।  

জানা গেছে, সারাদেশে রয়েছে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিনিয়োগ অবকাঠামো। কিছু বিদেশি কাজ করছে। তবে বিনিয়োগ আকার বিবেচনায় আশানুরূপ নয়।

তবে করোনার কারণে আগের চেয়ে সুবিধা বাড়বে বলে জানান বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম। 

তিনি বলেন, ‘অনেকগুলো কোম্পানি হয়তো চীন থেকে তাদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিবে। তার কিছু অংশও যদি আমরা নিতে পারি, সেটিও আমাদের অনেক বড় বিষয়। আর এটির জন্য আমরা প্রস্তুতি নিচ্ছি।’

তবে চীনের মতো বিশাল অর্থনীতির বিপরীতে বাংলাদেশের অবকাঠামো অনেক পিছিয়ে। যেখানে আছে নানা ধরনের জটিলতা। সম্ভাবনা বিবেচনায় রেখে অর্থনীতির প্রতিটি সূচক এগিয়ে নিতে কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন অর্থনীতিবীদরা।

তাই কেবল ঘোষণা নয়, বাস্তবায়ন পর্যায়ে যাতে কোন ধরনের দুর্নীতি না হয় সেদিকে নজর দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন সাবেক কূটনীতিক এ কে এম আতিকুল রহমান। 

তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন দেশের কোম্পানি যখন এখানে বিনিয়োগ করতে আসেন, সে সময় আমরা সুন্দর সুন্দর কথা বলি। কিন্তু পরে বিভিন্ন জায়গায় তাদের ধরনা দিতে গিয়ে জটিল অবস্থায় পড়ে যান তারা। সে বিষয়গুলো আমাদের দূর করতে হবে।’

সর্বপরি শ্রমিকদের দক্ষতা বৃদ্ধিরও তাগিদ দেন এ কূটনীতিক। 
 
এআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি