‘বাংলার যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন মণি’
প্রকাশিত : ১৮:৩৪, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭ | আপডেট: ২৩:১৩, ৪ ডিসেম্বর ২০১৭
শেখ ফজলুল হক মনির ৭৮তম জন্মোৎসব পালিত হয়েছে। ‘বিপ্লবের পর প্রতিবিপ্লব আসবেই’ এই শিরোনামে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির ৭৮তম জন্মোৎসবের আলোচনা সভায় সাংস্কৃতিক ও দোয়া অনুষ্ঠান ধানমন্ডির কলাবাগান মাঠে বিকেল ৩টায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় বক্তারা বলেন, বাংলার যুবসমাজকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন মণি।
অনুষ্ঠানের প্রধান- অতিথি আমির হোসেন আমু, বিশেষ অতিথি তোফায়েল আহমেদ, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মাঈন উদ্দিন বাদল, কাজী ফিরোজ রশিদ, আবদুল আউয়াল এমপি, ওমর ফারুক চৌধুরী, ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস এমপি, কামাল লোহানী, মীর শতকত আলী বাদশা এমপি।
শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, বাংলার যুব সমাজের অহংকার শেখ ফজলুল হক মণি। তিনি জাতির আশা আকাঙ্খার প্রতীক ছিলেন। যুদ্ধকালীন বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতে তিনি এ স্বাধীনতার স্বপক্ষের যুব সমাজ নিয়ে মুজিব বাহিনী গঠন করে এদেশ হানাদার মুক্ত করতে অবদান রাখেন। তিনি অত্যন্ত দূরদর্শী নেতা ছিলেন।
জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, যুক্তফ্রন্টের নির্বাচনে, ছয় দফা, সত্তরের নির্বাচনে মণি ভাই’র ভূমিকা ছিল অনন্য। ২৫ মার্চের রাতে বঙ্গবন্ধু গ্রেফতার হওয়ার আগে মনি ভাইকে স্বাধীনতার ছক বুঝিয়ে দিয়েছিলেন। যার ফলে মনি ভাই শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন। যার জন্যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতির জন্যে শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধী চাতক পাখির মতো সারা দুনিয়ার বুকে চষে বেড়িয়েছিলেন। মুজিব বাহিনী গঠন করে তিনি বাংলার যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ব করতে পেরেছিল।
সভায় বক্তারা শেখ মনির বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের স্মৃতিচারণ করেন। আগামী জন্মোৎসবের আগে শেখ মণির ওপরে একটি স্মারকগ্রন্থ প্রকাশ করার জন্য বক্তারা দাবি তোলেন। এছাড়া আগামী বছর থেকে দেশের প্রতিটি জেলা উপজেলা থানা পর্যায়ে যেন শেখ মণির জন্মোৎসব পালন করে সমাবেশ থেকে সেই দাবি উঠে। জন্মোৎসবে শেখ মণির ওপর স্থানীয় শিল্পীদের পরিবেশনায় নাটিকা মঞ্চস্থ করা হয়। এছাড়া একক সংগীত পরিবেশন, আবৃত্তি, দলীয় সংগীত, কোরাস কনসার্টে ব্যান্ড ওয়ারফেজ সংগীত পরিবেশন করেন।
এসএইচ/
আরও পড়ুন