বাকীতে ইয়াবা না দেওয়ায় ফরিদ উদ্দিনকে হত্যা করে তারা
প্রকাশিত : ১৪:২১, ১ মার্চ ২০২৩
টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর ক্লু-লেস ফরিদ উদ্দিন হত্যার মাত্র তিনদিনের মধ্যে রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ ইনভেস্টিগ্রেশন অব ব্যুরো পিবিআই।
আজ বুধবার সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিরাজ আমীন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার সলীল গ্রামে নিজ স্যালো মেশিন ঘরে খুন হন একই গ্রামের তোরাব আলীর ছেলে ফরিদ উদ্দিন। পরে এই ঘটনায় ফরিদ উদ্দিনের স্ত্রী শারমীন সুলতানা লিলি বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে নাগরপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এরপর টাঙ্গাইল পিবিআই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করে।
পরে প্রথাগত তদন্তের পাশাপাশি তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে মঙ্গলবার নাগরপুরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত পলাতক আসামি শালিয়ারা গ্রামের অলি তালুকদার, কামাল হোসেন ও সোহানুর ইসলাম ফারদিনকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
আসামিদের স্বীকারোক্তি থেকে জানা যায়, ভিকটিম ফরিদ উদ্দিন নিজে ইয়াবা সেবন করতেন এবং আশপাশের এলাকার অন্যান্য ইয়াবা আসক্তদের কাছে ইয়াবা বিক্রি করতেন। ঘটনার দিন উপরোক্ত আসামিদের ইয়াবা সেবনের প্রবল ইচ্ছা হলে এবং আসামিরা রাত ১০টার দিকে ভিকটিম ফরিদ উদ্দিনের কাছে বাকীতে ইয়াবা কিনতে আসে।
এ সময় ফরিদ উদ্দিন বাকীতে ইয়াবা বিক্রি করতে অস্বীকৃতি জানান। একপর্যায়ে ফরিদের উপর ক্ষেপে গিয়ে মারামারি শুরু করেন তারা। পরে মুখ, হাত-পা বেঁধে তাকে স্যালো মেশিন ঘরে শ্বাধরোধ করে হত্যা করে ফেলে রেখে যায় আসামিরা।
ফরিদ উদ্দিন হত্যাকাণ্ডের মাত্র তিনদিনের মধ্যে আসামিরা গ্রেপ্তার হওয়ায় ভিকটিমের পরিবারসহ এলাকার সাধারণ মানুষের মধ্যে সন্তোষ ও স্বস্তি বিরাজ করছে বলে জানান টাঙ্গাইল পিবিআই পুলিশ সুপার।
আসামিদের ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য টাঙ্গাইল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এএইচ
আরও পড়ুন