বাধার মুখে বন্ধ তুরাগ তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণকাজ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১১:৪৯, ১২ মার্চ ২০২২ | আপডেট: ১৩:০৫, ১২ মার্চ ২০২২
স্থানীয়দের বাধার মুখে বন্ধ হয়ে গেছে তুরাগ তীরে ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ। বিআইডব্লিটিএ নদীর সীমানা নির্ধারণ করে পিলার বসালেও স্থানীদের দাবি, তাদের পৈতৃক সম্পত্তির ভেতরেই পিলার বসানো হয়েছে। তবে বিআইডাব্লিউটি বলছে, উচ্চ আদালতের নির্দেশনার আলোকেই নদীর সীমানা নির্ধারণের পরই ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হচ্ছে।
চারদিকে নদী বেষ্টিত ঢাকার সৌন্দর্য্য রক্ষার পাশাপাশি নদী দখল রোধে ১৮১ কোটি টাকা ব্যয়ে ২০১৮ সালে সীমানা পিলার বসিয়ে ওয়াকওয়ে নির্মাণের প্রকল্প হাতে নেয় সরকার।
কাজ শুরু হলেও স্থানীয়দের বাঁধায় উত্তরখানের মাউসাইদ এলাকায় ওয়াকওয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। ঠিকাদারের মালামাল পড়ে আছে নদীর পারে।
এই স্থানটিতে সীমানা পিলার পোতা হয়েছে। কোথাও নদীর পাড়ে আবার কোথায় জমির মাঝখানে।
এক স্থানীয় জানান, যেহেতু এটি ৭ ফুট রাস্তা, যদি ১৪ ফুট নেওয়া হয় তাতেও রাজি। কিন্তু তারা কোথাও কোথাও ২শ’ থেকে ৩শ’ ফুটও নিয়েছে।
অন্য আরেকজন বলেন, “পিলারটা প্রথম তারা নদীর পাড় দিয়ে করেছে। আরেকধাপে ৩০ থেকে ৪০ ফুট ভেতরে করেছে, এরপর করে ৩শ’-৪শ’ ফুট ভেতরে।”
স্থানীয়দের অভিযোগ, জমি অধিগ্রহণের কথা বলে সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছিল।
এলাকাবাসী বলেন, “ঠিকাদার যখন পিলার করে তখন বলেছে যে, এখান থেকে রাস্তা হবে। সরকার জমি নির্ধারণ করছে, কতটুকু লাগবে। পরে অ্যাকোয়ার করবে, তখন বিল পাবেন।”
এ নিয়ে হাইকোর্টে ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা করার কথা জানান তারা। বলেন, রায় যাই হোক মেনে নেবেন তারা।
তারা বলেন, “আমাদের জমি প্রয়োজনে সরকার নিবে, আমরা দিতে বাধ্য। কিন্তু আমাদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”
তবে বিআইডব্লিউটিএ বলছে, হাইকোর্টের নির্দেশনা মেনেই সবকিছু হয়েছে। পিলার স্থাপনে কোন অনিয়ম হয়নি বরং নদীর জায়গায়ই আছে।
বিআইডব্লিউটিএ চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, “ছাড়া দেওয়ার কোন প্রশ্নই ওঠে না। বড় বড় ধরনের স্থাপনা ভেঙ্গে দেওয়া হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় তারা মামলা করেছেন, স্ট্রে অর্ডার এনেছেন। সেগুলোতে আপিল করার পর ভাঙ্গার কাজ চলছে। সেখানে নতুন করে আর কারও যুক্ত হওয়ার কিছু নেই। আমরা ম্যাপ বুঝিয়ে দিয়েছি।”
ওয়াকওয়ে নির্মাণ হলে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হবে না বলেই আশ্বস্ত করছে সংস্থাটি।
কমডোর গোলাম সাদেক বলেন, “এই জমিটা তাদের মালিকানায়ই থাকছে। এখানে গাছ লাগানো ও চাষাবাদ করতে পারবে তারা। কিন্তু বর্ষার সময় পানি প্রবাহের সুযোগটা করে দিতে হবে।”
আগামী জুনের মধ্যে প্রকল্পের দ্বিতীয় ভাগের কাজ শেষ হওয়ার কথা।
এএইচ/