বানিজ্যিক ভাবনা থেকেই অনুমোদনহীন বই যোগ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ
প্রকাশিত : ১৫:৫৩, ১৯ মার্চ ২০১৬ | আপডেট: ১৮:২৯, ১৯ মার্চ ২০১৬
ভালো ফলাফল নামের সোনার হরিনের পেছনে ছুটতে গিয়ে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের প্রতিনিয়ত বইতে হচ্ছে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা। প্রতিটি ক্লাসে পাঠ্য পুস্তক বোর্ডের নির্ধারিত বইয়ের চেয়ে কমপক্ষে ৫ থেকে ১০টি বই বেশি পড়তে হচ্ছে। পাঠ্যপুস্থক বোর্ড বলছে, বানিজ্যিক ভাবনা থেকেই অনুমোদনহীন বই যোগ করছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এমন পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত বইয়ের বোঝা কমানোর দাবী জানিয়েছে অভিভাবকরা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে পড়ার প্রতি অনিহা যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে মানসিক চাপ।
স্কুলে আরেকটি জ্ঞানলদ্ধ দিন পার করলো এসব কোমলমতি শিশুরা। ক্লাস শেষ তাই গন্তব্য নিজ ঠিকানা আর কাঁধে বইতে হচ্ছে জ্ঞানভান্ডার বইয়ের ব্যাগ।
স্কুল শুরু বা ছুটি হলে রাজধানী জুড়েই এমন দৃশ্য চোখেপড়ে, বইয়ের ব্যাগ নিয়ে ছুটছে শিশু কিশোর আর তাদের আভিভাবকরা। কিন্তু কেমন লাগে তাদের এত বই পড়তে, বা কাঁধে নিয়ে চলতে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন একজন শিশুকে কখনো তার নিজের ওজনের ১০ শতাংশের বেশি বোঝা বইতে দেয়া যাবে না। প্রথম থেকে দশম শ্রেনী পর্যন্ত ক্লাস ভেদে তাদের ব্যাগের ওজন হবে সর্বোচ্চ দুই থেকে ছয় কেজি। পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের বইয়ের পাশাপাশি তাদের ব্যাগে আরো থাকছে ৫-১০টি বই। সেইসাথে খাতা পেন্সিলসহ নানা সামগ্রী। যা নিতে হচ্ছে অভিভাবকদের।
শিক্ষকরাও মানছেন অতিরিক্ত বই পড়তে গিয়ে অঙ্কুরে বিনষ্ট হচ্ছে শিক্ষার্থীরা। তবে অনেক শিক্ষক বলছেন, শিক্ষার্থীদের জ্ঞানকে সমৃদ্ধ করতে পড়াতে হচ্ছে অতিরিক্ত বই।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের হিসেব অনুযায়ী, একজন শিক্ষক বছরে ক্লাসের জন্য ৫০মিনিটে ঘন্টা হিসেব করে পায় ১৮৯ ঘন্টা। ঝড় জলচ্ছাস আর নানা রকম সমস্যায় যা আরও কমে যায়।
পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের অনুমোদিত নয় এমন বই না পড়ানোর জন্য আইন হয় ১৯৮৩ সালের। কিন্তু তা মানা হচ্ছেনা। অনুমোদনের বাইরে বই পড়ানো হচ্ছে এমন কথা জানিয়ে ইতিমধ্যেই চিঠি দিয়েছে পাঠ্যপুস্তক বোর্ড।
যেসব স্কুলে অতিরিক্ত বই পড়ানো হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হবে, শিক্ষা আধিদপ্তর।
শিক্ষাবিদরা বলছেন, অতিরিক্ত বই পড়তে গিয়ে মানসিক চাপে পড়ে যাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। যাতে তাদের উপকারের চেয়ে হচ্ছে বেশি অপকার।
আরও পড়ুন